প্রিয় বঙ্গবন্ধু,
যখন এই কথাগুলো লিখছি তুমি তখন অনেক দূরে
যেখানে আকাশের ওপরে আকাশ
বাতাসের ওপারে বাতাস, তার ওপারে তুমি
তবু অব্যক্ত কথার গাঁথা মালায় তোমাকে আঁকতে চাই!
যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তোমাকে চিনতে পারে।
একদিন পলাশীর আম্রকাননে যে অন্ধকার সূচিত হয়েছিল
যে অন্ধকার জন্মের মতো ডেকে এনেছিল পরাধীন বাতাস
তোমার জন্যেই সে অন্ধকার শেষে জ্বলেছিল আলোর মশাল।
মানুষের কষ্টার্জিত স্বপ্নে এ তোমারি ভালোবাসার দান।
বঙ্গবন্ধু, তোমার অসমাপ্ত আত্মজীবনী আমি পড়েছি
পড়েছি তোমার কারাগারের রোজনামচা
যেখানে প্রতিটা শব্দে মানুষের কথা ছিলো
যেখানে প্রতিটা বাক্যে মানবতার কথা ছিলো
গণতন্ত্র আর সুশাসনের জন্যে সংগ্রামের কথা ছিলো
সেই উচ্চারিত সত্যের প্রতিটা লাইন আমি পড়েছি।
একদিন তোমার যে ধমনিতে মানুষের কথা উচ্চারিত হয়েছিল
যে উচ্চারণে তুমি বলেছিলে, আমি সব ছাড়তে পারবো
কিন্তু তোমাদের ভালোবাসা ছাড়তে পারবো না।
সে মানুষই রাতের আঁধারে তোমার হৃদয় ক্ষত বিক্ষত করেছে।
কেটে চৌচির করেছে রক্তে লেখা ইস্তেহার।
তুমি কি ক্ষমা করেছো তাদের?
হে বঙ্গবন্ধু, তুমি শুধু বাঙালির নও
নও কোনো রাজনৈতিক দলে একছত্র অধিকার
পৃথিবীর যেখানেই শোষিত মানুষ, বিপন্ন মানবতা
সেখানেই তুমি, সে জাতি তোমার।
তাই তো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তুমি সবুজ ঘাস।
বুকের তাজা রক্তে খচিত মৃত্যুঞ্জয়ী ইতিহাস।