যীশু, শান্তির বার্তা নিয়ে তুমি নিঃশ্চুপ দাঁড়িয়ে
অথচ তোমার উদাত্ত হাত ভিজে আছে মানুষের রক্তে
তোমার বুকের প্রশস্ত জমিন কুলোশিত রক্তগঙ্গায়।
তবু তুমি নিঃশ্চুপ দাঁড়িয়ে শান্তির পায়রা হয়ে।
হে যীশু,
যুগে যুগে মানুষে মানুষে প্রাচীর তুলে যে ধর্মের বার্তা
তার নামে রক্ত ঢেলে পাওয়া যায় কি স্বর্গের রাস্তা
ভোগ করা যায় কি বাহাত্তর হুর, অমৃত সুধা?
যদি তা না হয় তবে কেন আজ রক্তাক্ত উপাসনালয়
কেন সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্পে পিষ্ট জীবন?
মানবতার এতো ক্ষয় এতো সংশয়
আমি জানতে চাই তোমার কাছে!
হে যীশু,
তোমার গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে যে বাণী
সে ধর্ম
সে নৈতিকতার মর্মার্থ কী?
যদি মানুষ মানুষের আপন হতে না পারলো
ভালোবেসে না পারলো মেলে ধরতে শান্তির প্রশস্ত হাত
তবে ধর্মের মূল্য কোথায়, কোথায় রইলো নীতিকথার মর্মবাণী?
যীশু, যে ধর্মের নামে মানুষ মেরে ঈশ্বর পেতে হয়
রক্তের বন্যায় ছড়িয়ে দিতে হয় ঈশ্বরের অমর বাণী
আমি বিশ্বাসী নই সে ধর্মে, সে ঈশ্বর, সে স্বর্গে
আমার কাছে তোমার ঈশ্বর বিকৃতমনা খুনি
তোমার শ্বাশত ধর্ম
সে তো এক বিষাক্ত হেমলক!