এখনও নির্ঘুম রাত শেষে আবার রাত ফিরে আসা পর্যন্ত
অশরীরী হয়ে তুমিই থাক আমার অস্তিত্ত্বজুড়ে,
অহরাত্রি জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে আমি কেবল তোমায় অনুভব করি-
তোমার অভাববোধ হয় দিবানিশি সর্বত্র।
প্রিয়তমা আমার-
তবু নিজের করে তোমায় আমি চাইনা!
ইট-কংক্রিটের এই জঙ্গলে
সভ্যতার মুখোশ ঢাকা জংলি আর বেঈমানদের ভিড়ে-
অনিয়মের এই দেশে
তোমাকে আপন করে চাইবার সাহস হয়ে ওঠে না!
দলকানা, তোষামুদে আর লাঠিয়ালদের সময়ে
প্রিয়তমা আমার-
আমি নিতান্তই এক অথর্ব, অক্ষম।
এখন আমার না আছে,
বাহুজোড়ে তোমার আব্রু রক্ষা করার সক্ষমতা।
নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার মতো পরিবেশ
কিংবা তোমার প্রাপ্য পরিশোধের নিশ্চয়তা।
এখনও সকাল-সন্ধ্যা
আমাকে তাবেদারি করতে হয় অনিয়মের।
ফরমাস খাটতে হয় অন্যায়ের।
জড়িযে ধরতে হয় মিথ্যেকে।
চেতন-অবচেতনে কুর্নিশ করতে হয় নপুংসকদের।
কদর্য এ্ই চোখে কি করে তোমার চাঁদরুপ দেখি?
পাপিষ্ঠ হাতে কি করে তোমার হাতটা শক্ত করে ধরি?
নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া শেষ হয না আমার, প্রিয়তমা-
তাই তোমাকে এ স্বেচ্ছা প্রত্যাখ্যান।
এ আত্মহত্যা আমার।
তবুও জেনো
একদিন এই শহরে বসন্ত ফিরবে-
চেতনা বিক্রেতারা, দালাল, লম্পটেরা, কোটাধারীরা
কর্পূরের মতো উবে যাবে।
ফের রঙিন হয়ে উঠবে দেশ।
অক্ষমতা, গ্লানি আর ব্যর্থতা নিয়ে পালিয়ে যাবে না
আর একজনও প্রেমিক পুরুষ।
মোড়ে, মোড়ে ক্লাব, বার আর দলীয় কার্যালয় নয়,
গড়ে উঠবে শোধনাগার, তাজমহল।
হোক তা ২০৪১, বা আবার কোনো ৭১-
প্রিয়তমা, অন্তত তুমি তো জানলে
তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে আমি সেই মন্ত্র বপণ করে যাচ্ছি।
১৩.০২-০৩.০৩.২০১৬, ঢাকা।