এটা ভালোবাসা কিনা জানিনা,
আমি চোখ মুদলেই তোমার মুখটা ভেসে ওঠে, তা নয়
তোমার চাঁদমুখ আমায় চোখ মুদতে দেয়না নিত্যরাত।
এর নাম কি জানিনা,
আড়ালে-অন্তরালে
তোমার পানে চেয়ে থাকার তৃষ্ণা।
কেবল তুমি চোখ তুলে তাকালেই
ওই চোখে দু’দণ্ড চোখ রাখার সাহস হয় না!
তোমার সামান্য অনুপস্থিতি আমায় বিষণ্ন করে
তোমার বিচ্ছিন্নতা আমায় ওলট-পালট করে দেয়
মৌনতা করে উদভ্রান্ত।
তাই যত দূরেই থাকি
নিত্য যোগাযোগ, আমাদের ব্যবধান কন্ঠনালী দূরত্বে নিয়ে আসে
এর নাম কি প্রেম, কি ভালোবাসা আমি জানিনা।
আমি জানিনা কেন তোমার অবহেলা
আমাকে করে তোলে ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে দুখী
তোমার বেদনাবিধুরতা আমাকে করে তোলে
গ্রহের সবচেয়ে বড় অপরাধী,
তোমার কান্না করে তোলে সবচেয়ে অসহায়
আর তোমার হাসি, সুখ-সাফল্য
আমায় করে তোলে অদ্বিতীয় অধিশ্বর।
কি নাম এর তা আমার অজানা।
আমার জানা নেই, কেন
তুমি সামনে এলেই হাজারো কথা, ব্যথা কর্পূর হয়ে যায়
চোখের আড়াল হলেই বুকে চাপে পাথরের যন্ত্রণা।
এর নাম যাই হোক
মোহ, প্রেম, ভাললাগা কি ভালোবাসা
যে বিশেষণেই বিশেষায়িত হোক এইসব
তুমি ছাড়া নিমিষে ভরসা করার আমার আর কেউ নেই।
আমার বুকের সবটা জুড়ে তোমার বসবাস
অস্তিত্ব ঘিরে কেবল তোমার ঘূর্ণায়ণ
আমার জপমন্ত্রে তুমি, বিশ্বাসে তুমি
জলে, স্থলে অন্তরীক্ষে শুধু তুমিই।
এর নাম যদি মোহ হয়
তবে আমি তোমাতে মোহাচ্ছন্ন, আর ভালোবাসা হলে
তুমিই আমার ভালোবাসা সুন্দরীতমা।
ঢাকা, ২৭-২৮ এপ্রিল, ২০১৫