একটুখানি চা, ফিরে চা, আমার মুখ পানে
মেকি হলেও একটুখানি হাস-
তোর তাতে কি এমন এসে যাবে?
কমবে তাতে আমার বুকের দীর্ঘশ্বাস।
ছল করে না হয়, একবার পাশে, বস না এসে তুই
তাতে কি এমন তোর ক্ষতি?
বাড়বে আমার শূন্য মনে পূর্ণ অনুভূতি।
একটুখানি ঠায় দাঁড়িয়ে, বল না কিছু বল
দে’না ঢেলে বুকের চিতায় একটুখানি জল,
তাতে কমবে কি কিছু তোর?
আমার শুষ্ক সাগরখানি হবে জলে টইটম্বুর।
একবার এসে আমার পাশে, দেখ না একটুখানি
ছুয়ে দে তুই, এই অন্তরের অতৃপ্ততা গ্লানি
তোর কিসের রে সংশয়?
তোর প্রেরণায়, নেব আমি বিশ্ব করে জয়।
মিথ্যে করে হোক না, তবু দে’ না ভালবাসা
ঘুচিয়ে দে, এই জীবনের অসীম হতাশা
তাতে তোর কি হবে বল?
আমার জগত আলোয় আলোয় করবে ঝলমল।
আমার বুকে কান পেতে তুই, একটু যা না শুনে
কতখানি রিক্ত নিঃস্ব আমি তুই বিনে!
তাতে নাইবা পেলাম তোর দান
এই স্মৃতিক্ষণ আজন্মকাল থাকবে অম্লান।
একটুখানি কাঁদ’ না রে তুই , আমার বেদনায়
ফেল না, আমার তরে এক ফোটা অশ্রুজল-
কিবা এত কমবে তাতে তোর?
সঞ্জীবনী হবে তা ,আমার জন্যে চিরকাল।
ডাক না রে তুই ভুল করে, আমায় একটিবার
রাখ না আমার চোখে তোর ওই দু চোখ,
আমার হাতে হাত রেখে তুই, একটুখানি দাঁড়া
অনুভবে নে বুঝে আমার জড়তা ও সাড়া।
কেন রে তোর লজ্জা এমন ভারী?
তোর দৃষ্টি পেরিয়ে আমি, যেতে নাহি পারি।
আমার সাথে হাঁট না রে তুই একটুখানি পথ
সচল করে দে না রে আমার জীবন রথ।
তোর কিসের পিছুটান?
তুই থাকলে পাশে, গাব মর্ত্য জয়ের গান।
যা’না রে তুই, রেখে কিছু চলে যাবার বেলা
তাই নিয়ে মোর কাটবে নিত্য বেলা।
এসবের কিছুই হবে না তোর জানা-
তোর তরে নিজেকে বিকিয়ে, হব আমৃত্যু দিওয়ানা।
ঢাকা, ১১.০২.২০১১ ইং।