সেদিনও এমন আগুন ছিল,
ফাগুন বনে-
এমনি বাদল বেলায়।
কি জানি হায় কোন বে-খেয়ালে
কোন মায়ায় মরীচিকা জালে
দেখেছিলাম তোমায়!
তখন আমার মনের বনে ছিলনা গুণগুণ
পোড়ায়নি এই অন্তরটা তোমার রুপের আগুন!
আশ্চর্য্য হইনি’ক তোমার হাসির বেগে
স্বপ্ন আকিনি’ক দিবা মনের অনুরাগে!
শুধু তোমার বদনখানি
হঠাৎ ভুলে মনে দিত ঈষৎ ঝলকানি।
সেসব দিনে তোমায় বিনে মন হতনা ভার
ব্যাকুল পরান, আকুল নয়ন করত না হাহাকার,
অকুল পাথার খুজিনি’ক তোমার তরে
বিলাপ কিংবা গীত হয়নি কথা, কোনই সুরে।
শুধু দু এক ছন্দ মালা-
হঠাৎ ভুলে খানিক তোমায় ভাবত মনবালা।
তখন ছিলনা’ক তোমার রুপের জ্যোতির এমনতর ভার,
ভাবনাগুলো এমন করে হতনা’ক অসার।
যাইনি ভুলে সবকিছু, খুঁজে তোমার চুলে মেঘের কালি
পথ ভুলিনি তোমার চোখে তারার বাতি জ্বালি।
তখন তোমার দেহ পল্লবে বান ডাকেনি জল
উঞ্চতার সন্ধান খুঁজে হয়রান হয়নি’ক ভ্রমর দল।
তখন আমার পূজার আয়োজনে আসেনি’ক কোন নারী!
কবিতায় আল্পনায় কাওকে ভাবিনি’ক অপ্সরী!
শুধু কেন জানি কভু-
তোমায় চাইত এ মন তবু।
তারপর, দিনে দিনে দিন কাটে
এই গ্রীষ্ম, শীত, মাঘ-বর্ষার পাটে,
এখন আমার তোমার নামে গুণগুণাগুণ গাওয়া
তোমার রুপের আগুনে ভীষণ পোড়া খাওয়া,
তোমার হাসির বানে রাত দিনে খুন হওয়া
অহরাত্রি তোমায় ছোয়ার আশার পথ চাওয়া।
তবু মেটেনাক আশা-
ভালবেসে তবু মেটেনা’ক সাধ, আমার ভালবাসা।
এখন তোমায় ভেবে মন হয় ব্যথায় পূর্ণ
ব্যাকুলতা এসে ভরে অবকাশ আনন্দ করে চূর্ণ।
তোমায় দেখার তৃষা বয়ে আমার চিত্ত কাদে
বিরহী মন তোমায় ঘিরে কত সুর-কাব্য বাধে
তবু মনে হয় তুমি দূর-
তোমায় বুঝি ছোয়া পাবে না, এই বিরহ বিধূর।
তোমার রুপে এখন আমি মন্ত্রমুগ্ধ কবি
আমার সকল চিন্তা জুড়ে তোমার প্রতিচ্ছবি!
তোমর দেহের অণু-পরমাণু আমার আরাধ্য
তুমি রাণী আকাশের চাদ, এ বামন ছোয় কি সাধ্য!
তবু তোমার লাগি-
সব ছেড়েছি, একা মনে হয়েছি বিবাগী।
এখন তোমার ফাগুন বনে ভ্রমরেরা আসে ছায়
মধু খুঁজে খুঁজে কত প্রজাপতি হয়রান মৃতপ্রায়!
আমি রচি পূজা তোমার তরে, বেদী রচি প্রিয়তমা
পেতে নয়, জয় করতে ও চিত্ত তোমা।
তবু হয়ত হয় গো ভূল-
ঝড়ে কেন তবে, এত বিশ্বাস-ভালবাসায় ঘেরা ফুল?
-ঢাকা, ২০.০৭.২০১০ইং।