অনন্ত নরক বাসের পর-
এক বাংলাদেশিকে জামিন দিয়ে
বিধাতা কিছু চাইতে বললেন।

আশ্চর্য্য! সে বেহেশত চাইল না,
সে মাতৃভূমিতে যেতে চাইল।
যথাসময়ে অনুমতি মিলল,
নরকী অশরীরী হয়ে দেশে এলো।

সব কিছু দেখে সে থ
লজ্জায়, ঘৃণায় ও ক্রোধে সে বাকরুদ্ধ হল,
সে দেখল অদ্ভুত এক বাংলাদেশ,
অদ্ভুত এক সরকার
আর তার অনধিকার চর্চা।

দেশপ্রেমের বুলিভরা তত্ত্বাবধায়কদের
বিদেশি তাবেদারি আর তোষামোদী,
দেশের স্বার্থবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন-
নির্বাহী আদেশের নামে স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্রহসন।


অরাজনৈতিক ডক্টরেটদের চূড়ান্ত রাজনীতি-
লেভেল ফিল্ড তৈরিতে অপূর্ব পক্ষপাতিত্ব
নির্বাচন কমিশনের অদ্ভুত উপলদ্ধি
দেশকে নিঃরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া।

দেশবিক্রির দালাল সুশীলদের
প্রমোশন দিয়ে বিদেশ বাসের ব্যবস্থা করা।
লাল অশ্বের বিনিময়ে
ট্রানজিট জিকির আর বন্দী বিনিময় চুক্তি।
বিপদকালীন চাল সাহায্যের নামে মহাজনীকে
বন্ধুত্বের নিদর্শন গণ্য করা।

নরকবাসী আরও দেখল
বাজারে দ্রব্যের উর্দ্ধগতি, অগ্নিমূল্য
গরীব মানুষের নীরব দূর্ভিক্ষ,
আর অভিজাত পাড়ায় স্বল্পবসনাদের নাচগান
চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্যের ছড়াছড়ি!

দেশ গড়ার নামে অর্থ অপচয়
আতাতের এক্সিট ওয়ের স্থানীয় নির্বাচন
আর দেশব্যাপী ইসলামের উপর তীব্র আক্রমণ।

নরকবাসী দেখল-
নামাজী হবার কারণে তার বাবাকে জঙ্গী বলা হয়!
ধর্মভীরু, তাই সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বলে হেয় করা হয়!

গরীবদের অচ্ছুত জ্ঞান করা হয়,
অথচ অভিজাত পাড়ায় উচ্ছিষ্ট খাদ্যের স্তুপ।

সব দেখে শুনে নরকবাসী
তার জামিনের মেয়াদ শেষ হবার পূর্বেই
দ্রুত নরকের দরজায় গিয়ে করাঘাত করে
বলল- দ্বার খোল,
যদি বর্তমান বাংলাদেশকে নরক না বলা যায়-
তবে বিধাতার এই নরক নরকই নয়!

(১/১১ প্রেক্ষাপটে আসা অবৈধ সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে...)

২৪.৮.২০০৮, ঢাকা।