তোমার তখন তারুণ্য চলিছল
যৌবনের প্রারম্ভ-
মৌসুমী প্রজাপতিদের আনাগোনার সবে শুরু।
তোমার পুষ্পবাগে অযতনে ফুটত
অমূল্য ফুল!
ঝরেও যেত তেমনি।
তখন, তোমার সাজ-সজ্জার বাহার ছিলনা,
তোমার আহার, আহামরি ছিলনা।
পোশাকের ভারী জৌলুষ
অন্তরের কৌলুষ ছিলনা।
তোমার তখন সবমোত্র ভালবাসার বোধের জাগরণ!
তখন তুমি মায়ায় ভুলতে না, চলতে না
তখন, তোমার রসের চারপাশে ভ্রমরের গুঞ্জন ওঠেনি
পানি প্রার্থীদের ফল্গুধারা ছোটেনি।
গোপনীয়তা বলে অনেক কিছুই তোমায় ধরেনি
অনেক কপটতা কুটিলতা আশ্রয় মেলেনি-
তখন তোমার জগতে, মাত্র রঙের হাওয়ার দোলা!
তখন তোমার মহারাণী হবার চিহ্নও ছিলনা
অদ্বিতীয়া হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও না-
তখন এমন ভক্তের দলের কীর্তন ছিলনা!
তখন তোমার সাধারণ মনের গঠন মাত্র।
তখন তোমার আকাশে তারাবাতি লুকোচুরি চলেনি
সারারাত জোনাক জ্বলেনি!
তখন তোমার বাকা হাসি ছিলনা।
ছলনার ছলকলা আসেনি
তোমার নদীতে আগন্তুকের নৌকা ভাসেনি
তখন সবেমাত্র তোমার, তুমি হবার শুরু!
সেই সন্ধিক্ষণে হঠাৎই একদিন তোমার জীবনে
তোমার জগতে, আমার আগমন!
বনফুল হতে সুগন্ধী কস্তুরী অর্কিড
মায়াবিনী হতে দেবী, আমিই তোমায় করেছি।
তোমার হৃদয়ে রাগ-অনুরাগের বান এনেছি
ভালবাসার মন্ত্র শিখিয়েছি র্পূণাঙ্গ!
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল, মোহত্যাগ
বন্ধুত্ব, আমি তোমার হৃদয়াঙ্গম করেছি!
তোমার তীরে ডুবে মরেছি
তোমার আসনে বেদী গড়েছি।
জ্ঞাত-অজ্ঞাত সকল কিছুর বিনিময়ে
আমি তোমায় গড়ে তুলেছি,
ভরিয়ে তুলেছি-
আনমনে, হেয়ালে খেয়ালে,
সাধনা, পূজা আর ভালবাসায়।
তুমি তা বুঝতে চাওনি, পাওনি প্রিয়তমা
কারণ, তখন তোমার শুধু আমিই ছিলাম!
১৭.০৫.২০১০, ঢাকা।