জানি আমি অবাঞ্ছিত তোমার জগত হতে,
সকল রকম নিষেধাজ্ঞা তোমার কাছে যেতে!
তবু প্রিয়তমা মোর-
মনে কি দেয়া যায় দোর?
কেউ পারবেনা ফেরাতে আমায়, তোমা হতে কোনমতে।
তোমার তন্বী তনু ছুয়ে যাব, বাতাস হয়ে এসে
দুলব তোমার মেঘকালো গভীর এলোকেশে।
তোমার হাতের চুড়ি হয়ে
থাকব গভীর বন্ধন নিয়ে
চাদনী রাতে জোসনা হয়ে তোমাতে যাব মিশে!
আমি নাও ভাসিয়ে তোমার মনে, দরিয়া দেব পাড়ি
যতই থাকুক তোমার-আমার জনম জনম আড়ি।
আমি তোমার ঘাটে একলা এসে
ভেসে যাব সর্বনাশে!
হোকনা প্রিয় যতই ভুল, হোকনা বাড়াবাড়ি।
আমি তারা হয়ে তোমার আকাশ করব আলোকিত
তোমার ঠোটে হাসি হয়ে থাকব অবারিত,
তোমার চুলের নোটন খোপায়
গড়ব আসন অসীম মায়ায়
তোমার রুপের গভীর জলে নিজেকে করব সমর্পিত।
আমি তোমার পেজো চুলে হব ফুলমালা
শুষে নেব গন্ধ ঢেলে তোমার বুকের সকল জ্বালা।
তোমার প্রেমের ভাষা হয়ে
তোমার আশা মাথায় বয়ে
আমিই একা ভরিয়ে দেব তোমার নৈবদ্য থালা!
তোমার বুকে কলঙ্ক হয়ে থাকব বেচে আমি
রোদ হব, যখন তোমার শ্রাবণ যাবে থামি
তোমার অধর মধু পিয়ে-
বাচব নতুন জীবন নিয়ে
তোমার আরাধনায় মত্ত হব, নিত্য দিবস যামী।
আমি তোমার উদাস চোখে ঘুম হয়ে আসব
নির্ঘুম রাতে তোমার মনে স্বপ্ন হয়ে ভাসব,
আমি তোমার হাসির ছটায়
থাকব মিশে নিভৃতপ্রায়,
সন্ধ্যাবেলা তোমার চোখে গোধুলিয়া হয়ে ভাসব।
আমি তোমার মনের জমি একলা করব চাষ
ফসল ফুলে ভরব জমি, নিত্য বারমাস
শিশির হয়ে তোমার ঠোটের কোণে
পড়ব ঢলে অবচেতনে
তোমার বুকের পুড়ুনি হব, দুঃখে দীর্ঘশ্বাস!
আমি তোমার প্রার্থনার মন্ত্রে আসব চুপিসারে
তোমার নাম জপে আমার মনের মন্দিরে,
তোমার তরে মাতাল হয়ে
স্বর্গ আকাশ পাতাল বয়ে,
আমি তোমার মাঝে বিলীন হব চিরতরে!
আমি তোমার সত্ত্বার স্পন্দন হব, হব তোমার মন-
তোমার মাঝে ঠাই নিব কারণ-অকারণ।
আমি আমার কবিতা গানে
সৃজন করব তোমায় নতুন প্রাণে,
কেউ পারবেনা বিচ্ছিন্ন করতে, তুমি আমি কোনজন?
ঢাকা, ১৩.১১.২০১০ ইং।