ভাবতাম তোমার জন্যে
আমি অনেক কিছুই করতে পেরেছি,
অথচ তোমার জন্য আমি কিছুই করতে পারিনি!
আমি পারিনি রাজ্য দখলের মতো তোমায় দখল করতে।
হৃদয়ে তোমার জন্য কোনো সৌধ কিংবা তাজমহল গড়তে।
অজস্রক্ষণ তোমার প্রতীক্ষায় থেকে আজও
আমি চন্ডীদাসকে ছাড়িয়ে যেতে পারিনি।
মজনু হয়ে ত্যাগ করতে পারিনি স্বাভাবিকতাকে।
কঠিন শিলার পাহাড় থাক, হৃদয়ের একমুঠো জমিও
তোমার জন্য কাটতে পারিনি এখনও।
একশ আটটা নীল পদ্ম তোমায় দেব ভেবে
বিশ্ব সংসারের কিছুই খোঁজা শুরু হয়নি আমার।
জোস্নার সাথে চন্দন মেখে তোমাকে সাজাতে পারিনি।
পারিনি কৃঞ্চচূড়ার রঙে তোমাকে রাঙাতে।
আমি তোমার জন্য কোনো ট্রয় ধ্বংস করতে পারিনি।
বীরের মত প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে
তোমাকে ছিনিয়ে আনতে পারিনি।
রাজ্য ও নারী জয় করে রাখা রাজার মতো
আমি তোমাকে বন্দী করে রাখতে পারিনি।
ওমর খৈয়ামের মতো তোমার মোহে দিওয়ানা হয়ে
রেবা নদীর তীরে মাতাল হতে পারিনি।
তোমায় পেতে ক্ষুদ্র কুটির খানির মোহ বিসর্জন
দিতে পারিনি, এডওয়ার্ড হতে পারিনি।
পারিনি দেবদাস হয়ে সকল বিসর্জন দিতে।
তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি দেখতে পারিনি
স্বর্গের আদি-অন্ত।
তোমার উঞ্চ ছোয়ায় আমি অনূভব করতে পারিনি
সাপের শীতলতা।
তোমার হাসি দেখে আঁকতে পারিনি মেঘহীন আকাশ।
আমি পারিনি, আমার বিশ্বাস ভালবাসা দিয়ে
তোমার আধার আর অপূর্ণতা দূর করতে।
আমি তোমার জন্য হতে পেরেছি-
না পুরুষ, না প্রেমিক, না বীর
কিংবা বিজয়ী অথবা একান্ত পূজারী।
আমি পারিনি আমাদের সবচেয়ে আনন্দের দিনে
তোমায় একটিবার দেখতে
একমূহুর্ত কাছে পেতে,
এ আমার ব্যর্থতা নাকি অক্ষমতা প্রিয়তমাসু?
সেপ্টেম্বর ২০১০, ঢাকা।