পুরো দুটো বছর পার করলাম
তোমার সাথে কথা না বলে।
কথা না বলে কাটিয়েছি সাতশো তিরিশটা দিন।
এই সাতশো তিরিশ দিনে ছিলো হাজার বেদনার অশ্রু।
ছিলো সতেরো হাজার পাঁচশো কুড়ি ঘণ্টা,
এক লক্ষ একান্ন হাজার দুইশো মিনিট,আর...
থাক সেকেন্ডের হিসেব নাইবা দিলাম!
তুমি কিন্তু আমার ফোনের কনট্যাক্ট লিস্টেই ছিলে,
তবুও একবারের জন্য চাইনি তোমার বিরক্তির কারণ হতে।
চাইনি একারণেই কারণ তুমি অতি ভদ্রের ন্যায় আমায় নিরব উপেক্ষা করেছো শেষ কয়েক মাস,
যাতে কেউ বলতে না পারে যে তুমি থাকতে চাওনি।
সবার প্রিয় হয়ে থাকতে চেয়েছিলে তুমি,তাই তুমি এমন ভাবে পাশার ঘুঁটি গুলো চাললে যাতে আমিই দূরে সরে যাই।
ছেড়ে যাওয়ার পরেও রাস্তা ঘাটে কখনো সখনো তোমার চুলের সেই পরিচিত সুবাস পেলে,
আমার চোখ তোমায় খুঁজতে চেষ্টা করতো।
প্রত্যেক বার অবশ্য নিরাশই হতাম।
এখন আর খুঁজি না তোমায়।
তোমার সুবাসটাই তো আর পাইনা!
ইচ্ছেটাই মরে গেছে !
মরে গেছে দমকা হাওয়ায় উঁড়ন্ত কেশ দেখার
ইচ্ছে গুলো আর সাথে সেগুলোকে শাসন করার আপ্রাণ চেষ্টা।
আগে কোনো কথায় একবারের বেশি হাঁসি পেতোনা।
তাই এতদিন পরে এসে বুঝেছি এতো বেদনায় একবারের বেশি কাঁদা উচিত নয়।
কি হবে অমন শিশুর ন্যায় কান্নাকাটি করে!
সেই তো তুমি প্রতিদিনই যাবে আমার মতো সাদা শার্ট,বাদামি সুট আর বেল্টের ঘড়ি পরা আমার থেকে ভালো কোনো পুরুষের হাত ধরে।
বিচ্ছেদের প্রথম দিকে অনেকটা নেশা করা শিখেছিলাম।
সিগারেট, মদ,গাঁজা কোনোটাই বাদ দিইনি।
তারপর একদিন দেখলাম পকেটে একটাও টাকা নেই,সব ধোঁয়ায় উঁড়ে গেছে।
আরো কত কিছুই না ঘটলো জীবনে!
তাই আমি কোনোদিন ভুলবো না তোমার দেওয়া ওই কালো দুটো বছর।
নাহ শুধু দুটো বছর কেনো!
সাতশো তিরিশটা দিন,
সতেরো হাজার পাঁচশো কুড়ি ঘণ্টা,
এক লক্ষ একান্ন হাজার দুইশো মিনিট আর.....
তবে শোনো,ছয় কোটি তিরিশ লক্ষ বাহাত্তর হাজার সেকেন্ড!