মা জানোতো, মৃত্যুর পরেও
আমি ভীষণ ছটফট করছি যন্ত্রণায়।
যেমনটা হয়েছিল মৃত্যুর সময়,
ঠিক সেইরকম।
আমার উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে
যখন সবাই প্রতিবাদী হয়ে উঠলো,
তখন একবার আমার চোখ বেয়ে
ঝরে পড়েছিল প্রতিবাদী কান্না।
হাসপাতালে,অফিসে,স্কুলে,কলেজে,
রাস্তায় রাস্তায়,এমনকি পাড়ার চায়ের দোকানে পর্যন্ত -
আমায় ভালোবেসে নিজের মেয়ে ,দিদি, বোন ভেবে যারা প্রতিবাদ করে উঠেছিল সমাজের কীটদের বিরুদ্ধে,
তাদের জন্য দু ফোঁটা জল ঝরে পড়েছিল চোখ বেয়ে।
ভালো মানুষ আজও আছে,
এই ভেবে নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম।
ছোট ছোট ছেলে মেয়েগুলো আমার জন্য বিচার চেয়ে যেভাবে অক্লান্ত ভাবে রাস্তায় নেমেছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।
আমার মায়েরা, ঠাকুমারা পর্যন্ত লাঠি হাতে এসেছিল আওয়াজ তুলতে ।
নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম,ভেবেছিলাম অপরাধিগুলো শাস্তি পাবে নিশ্চয়ই।
কিন্তু সব ধারণাগুলো কেমন যেনো পাল্টে গেলো
এক লহমায়।
পাল্টে গেলো মূল লক্ষ্যটাই।
একজন নারী আরেকজন নারীর যন্ত্রণা বুঝলো না।
শুধু অপরাধ আড়াল করতে কি না করলো!
কি হলো মা দুর্গার প্রতিরূপ হয়ে?
এই সমাজে স্বাধীন হয়ে থাকতে গেলে,
কালীর মতো হতে হবে।
এখন আবার যন্ত্রণাটা বাড়ছে মা।
মুখেই শুধু স্বাধীনতার বুলি,
মনেতে এদের ভীষণ ষড়যন্ত্র।
আজকের এই সমাজ বড়ই বিপদে,
পড়ছে ভেঙে ন্যায়ের মহামন্ত্র ।
স্বাধীনতা আমাদের কভূ হয়নি -
হয়েছে কেবল শাসনকারীর জন্য।
আমরা কি শুধু জন্মেছি এই দেশে -
বড়ো হয়েছি হতে শরীরী পণ্য?