বড্ড বেশি বেমানান লাগে আজকাল তোমায়।
আজকাল ঠিক সেই আগের মতো তুমিটাকে আর পাইনা।
আমার কেউ নেই,কেউ ছিলো না কোনোদিন।
কিন্তু তুমি ছিলে।
তুমি ছিলে আমার পাশে অনড় হয়ে।
কখনো আমার কান দুটো ধরে টানতে;কখনো বা চিমটি কেটে বলতে,আমি নাকি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি!
কখনো কখনো তো গাল টিপে বলতে, এই বুড়োলোকই নাকি তোমার বেশ লাগে।
কি জানি সত্যি কিনা!
আজকাল আর ভালোও লাগে না,মন বসেনা কিছুতেই।
আসলে তুমি চলে গেছো কয়েক মাস হলো।
এমন ভাবে চলে গেছো যে আর ইচ্ছে হলেই দেখতে পাবো না তোমায়।
এমনটা কি খুব দরকার ছিল?
নাকি ঈশ্বরের ছিল অন্য কোনো ভাবনা!
এতদিন তোমায় পেতে পেতে আমি কাঁদতে ভুলেছিলাম।
আর এখন তোমায় না পেতে পেতে আমি,
হাসতে ভুলেছি।
যদি বলো, এতো নঙর্থকতা এলো কিভাবে?
আমি বলবো,সেও তোমারই সৌজন্যে ।
অনেকদিন হলো টানা রিকশা চড়িনি,
তাও তোমারই কারণে।
তোমার তা পছন্দ নয়।
প্রথমে খানিকটা বিরক্ত হলেও
পরে জেনেছিলাম,
মানুষের কাঁধে চড়ে,তার রক্ত জল করে ,
আমায় ভালোবাসতে পারবে না।
বেশ খুশিই হয়েছিলাম যখন তুমি একটাও যাত্রী না পাওয়া রিকশা ওয়ালাকে এমনি এমনিই
দশটা টাকা দিয়ে উপকার করেছিলে।
মাঝে মধ্যে এমনটি করতে।
কখনো সখনো ওই মানুষটির সাথে দেখা হলে
তিনি যখন জিজ্ঞেস করেন তোমার কথা,
নির্বাক হতে হয় আমাকে।
ভীষণ পীড়াপিড়িও করেন তোমায় একঝলক দেখতে চেয়ে।
এই যেমন সেদিনের কথা,
আমার মাথায় হাত দিয়ে বললেন,
মেয়েটাকে সুখে রেখো,কখনো কষ্ট দিয়ো না,
বড্ড ভালো ।
কতো প্রশংসা করলেন তোমায় না দেখতে পেয়ে
আক্ষেপের সুরে।
কিন্তু তুমি কি করলে !
ঠিক উল্টোটা।
আমায় রেখে দিব্বি হাসতে হাসতে চলে গেলে
ওপারের ডাকে সাড়া দিয়ে।
দিনে দিনে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছি,
আসক্ত হচ্ছি বেদনা মিশ্রিত অশ্রুর।
তবু তোমায় ভুলতে পারিনা একদণ্ড।
কাশিটা আমার বেড়েছে,
ভেঙে পড়ছে প্রতিদিন একটু একটু করে শরীরটা।
এখন প্রায়ই দেখি তুমি হাতছানি দিয়ে ডাকছো।
এ নরক যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না।
অথচ মদ খেয়ে খেয়ে আমার লিভার,পাকস্থলীতে পচন ধরেছে ডাক্তার বললো।
তবুও আত্মা যেনো এ শরীরটাকে ছাড়ছে না।
আর কতো!!
এবার নাহয় আমায় হাত বাড়িয়ে নাও!