বহুদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই -
তবুও তীব্র গরম গায়ে মেখে অনবরত খেটে যাচ্ছে মানুষগুলো।
আলাদা কোনো কারণে নয়,
শুধু রাক্ষুসে পেটটাকে একটু শান্ত করার আশায়।
ভোট এসেছে,তাই বাড়ির পাশের দীর্ঘদিনের খারাপ হয়ে যাওয়া রাস্তাটা ঝাঁ চকচকে করে দেওয়ার প্রাচীন পন্থা শুরু হয়েছে ।
এতদিন কারো ছিলো না ভ্রুক্ষেপ বিন্দুমাত্র।
কিন্তু ভোট এসেছে ভায়া!
তাই প্রবল গরমকে উপেক্ষা করে,
সূর্যের দিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মানুষ গুলোকে ঠেলে দিয়েছে অমানুষিক গরমের দিকে পুড়ে ছাই হওয়ার জন্য।
মেশিনের অবিরাম ঘড় ঘড় আওয়াজ আর গলন্ত পিচ শেষ করে দেয় জীবনের প্রশান্তি।
আমি শুধু দেখি চেয়ে,আর ভাবি শীত কেন এত উপেক্ষিত যে তখন হলো না কাজ?
মানুষের ঘাম আর প্রাণবায়ু ছাড়া কি হয়না কখনো
রাস্তার এই ঝাঁ চকচকে সাজ?
এরই নাম ভোট ভায়া!
ভোট শুধু ভাবে নেতাদের কথা।
ভাবেনা কখনো শ্রমিকের চামড়া পোড়ার জ্বালা,ভাবেনা কৃষকের কথা ,মানুষের কথা।
ওদের অনুমতি নিয়ে পকেট হাতড়ে দেখো
একখানা বিড়ির প্যাকেট আর দেশলাই ছাড়া পাবেনা দশটা টাকা।
অথচ ওদেরই ভোটে জিতে আসা পশুগুলোর
বাড়িতে,গাড়িতে টাকার বাক্স রাখা।
শরীর বেয়ে টপ টপ করে ঝরে পড়া ঘামের বিন্দুগুলো ওদের সততার প্রমাণ।
অসততার পথে এক পা বাড়ায়নি।
ওরা ঘুম ভেঙে উঠে খাটে আর অর্ধেক পেট খায়।
ওরা খাটার পরে ক্লান্তি নিয়ে ব্যাথা পায়ে ফেরে বাড়ি।
ওরা চড়েনি কখনো অসততার বাতানুকুল গাড়ি।
ওরা পয়সা জমায় পেটে খিদে নিয়ে,
ওদের খাবারের সাথে লড়াই।
তাই বৃষ্টি তোমায় ডাকি বারে বারে,
অঝোর ধারায় আসতে।
প্রচার বন্ধ হয় হোক তবুও
তোমায় হবে শ্রমিকের ঘামে মিশতে।