ছোট বেলায় খুব বেশি শুনতাম একটি নাম।
আমার গ্রামে বসবাসরত মানুষের মুখে মুখে,
সুখে দুঃখে সকলের কাছেই ছিল তাঁর সুনাম।।
মুখের ভেতর পান লেগেই থাকতো সারাক্ষণ।
সাইকেল চালিয়ে ছুটে যেত সকলের ঘরে,
যখনি ডাকতো গ্রামের সকল সাধারণ মানুষজন।।
ছোটরা দৌড়ে পালাতো ইনজেকশনের ভয়ে।
বড়রা শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতো উনাকে দেখে,
এমন একজনের কথা আজ মনে জাগে রয়ে রয়ে।।
বলছি গ্রামের সুসন্তান মিলন ডাক্তারের কথা।
হোক প্রাথমিক চিকিৎসা অথবা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা,
উনি ছাড়া উপায় ছিল না এটাই চরম সত্যি কথা।।
দিন বা রাত যে কোন সময় উনাকে পাওয়া যেত।
এ যেন নিবেদিত মানুষের নিবেদিত প্রাণের ছোঁয়া,
কখন আসবে রোগীর বাড়িতে সবাই চেয়ে থাকতো।।
জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছে গ্রামের মানুষের কল্যাণে।
হে গুণী-তোমাকে চাইলেই ভোলা যাবে না,
ইতিহাস সাক্ষী দেবে-তুমি ছিলে সময়ের প্রয়োজনে।।