কর্মের ওপর ভর করে জায়গা নিয়েছিলো সে সকলের অন্তরে।
নিদারুণ দক্ষতায় অর্পিত কাজ সম্পন্ন করাটা ছিলো তার সহজাত অভ্যাস,
এ অঞ্চলের সকল মানুষ এখনো সে মানুষটাকে স্মরণ করে।।
বলছি খেটে-খাওয়া একজন মহান মানুষের অপূর্ব কাহিনী।
আমাদের কাছে সন্জুদা নামে যে পরিচিত ছিল,
সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে ছুটে আসতো সবার ডাকে হোক গভীর রজনী।।
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি তার নাম ঠাকুরদা, বাবা, মা সকলের মুখে।
ও সন্জু, ও সন্জু ডাকটা সকলের মুখে লেগেই থাকতো,
তাকে পাওয়া যেত পাড়ার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে।।
সন্জুদাকে চিনতো না আশেপাশের এলাকায় এমন মানুষ নেই।
নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেছিলো সবার কাছে,
প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল এ-কাজে ও-কাজে সন্জুদাকে লাগবেই।।
বিদায় নিয়েছিলো সে এ ধরণী থেকে নিয়তির কাছে পরাজিত হয়ে।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সে অন্যের উপকার করে গেছে,
এ পৃথিবী সত্যিই দিশেহারা আজ সন্জুদার মত মানুষদের হারিয়ে।।