আবার ঠিক মধ্যরাতে মুখোমুখি এসে দাঁড়ায় কল্পনার ছায়ামানবী,
মনের ক্যানভাসে অনুভূতির রঙ তুলি দিয়ে তাকে সাজায় এক ভবঘুরে কবি।
দীঘল কালো চুলে গুজে দেয় একগুচ্ছ কাঠগোলাপ,
ঠোঁটে একে দেয় ঈষৎ আবীরের রঙ,
শরীর জড়িয়ে দেয় নীলাম্বরী শাড়ি,
ছায়ামানবী এসে দাঁড়ায় মুখোমুখি।

চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চুপ কবি,
ভাঙা ঠোঁটের কোণে জেগে উঠে অব্যক্ত কম্পন,
কি বলবে বলে সহসা নেড়ে উঠে কবির দু চোয়াল,
আর চোখের কোণায় ভেসে উঠে স্বচ্ছ দু ফোঁটা জল।

হে ছায়ামানবী, তুমি যে কেবলি আমার অবাস্তব কল্পনা!
অন্ধকার মস্তিষ্কের নিউরনে বেঁচে থাকা এক ধ্রুব পূর্ণিমা।
কোনো মধ্যরাতের অহেতুক স্মৃতিচারণ,
আমার বারংবার ভুল করবার কারণ।

আমি শুধু পুষেছিলাম এক দারুণ অনাদি স্বপন,
হিমালয় থেকে আজ তাহার হয়েছে মরুকরণ,
কোনো কালেই আমি ছিলাম না মহামানব,
স্বপ্নগুলোও আকাশের মতো বিশালও ছিল না,
এই ক্ষুদ্র হৃদয়ে তোমায় পুষেছিলাম গোপন,
বেলা শেষে স্বপ্নভ্রমে তোমাকেই দিলাম বিসর্জন।

আজ এই মধ্যরাতে তুমি শুধুই এক কাল্পনিক ছবি,
একদিন যাকে ভালোবেসেছিল এক যাযাবর কবি।