তোমাকে মরীচিকা ভেবে আর কতো ভুল করবো?
আমার দৃষ্টির না হয় সীমাবদ্ধতা আছে,
তোমার সৃষ্টির কেন সীমারেখা থাকবে?
তপ্ত মরূর বুকে এক ফোঁটা শীতল জল খুঁজেছিলাম,
তুমি আশার মরীচিকা দেখিয়ে নিরাশ পথিকের বেশে ফেরত পাঠালে?

আজ মরুর বুকে দু ফোঁটা জল প্রবাহিত হচ্ছে,
এক আশাহত পথিকের নিরব চোখের জল।
পথিক তবুও এক রাশ আশা নিয়ে বুক বাধে,
ভুলগুলোকে ফুল ভেবে বুকের ভেতরে একটা বাগান গড়ে।
কোনোকালে সে বাগান উজাড় করে একটি মালা গাঁথা হবে,
মালার প্রতিটি ফুলে শুধু লিখা হবে তোমারি নাম।

তুমি যেদিন হারিয়ে যাবে,
শুকিয়ে যাবে মালাটিও।
শুকনো ফুলের গর্ভাশয়ের নিষিক্ত ডিম্বাশয়ে তুমি বেচে রবে চিরন্তন।
যেদিন আমিও হারিয়ে যাব,
হারিয়ে যাবে মালাটিও,
পড়ে রবে তপ্ত মরূর বুকে।

আর আমি মাটির নিচের দেশে তোমায় খুঁজে ফিরবো।
হয়তো একদিন তোমায় খুঁজে পাব,
কিন্তু তুমি তো আমার ছিলে না কোনোকালেও!
কোনো এক বরষায় গগন বিদীর্ণ করে বৃষ্টি হবে,
প্লাবিত হবে উত্তপ্ত মরু,
শুকনো ফুলের সুপ্ত বীজে জেগে উঠবে নবজীবন।
ছোট্ট বীজটি একদিন বটবৃক্ষে পরিণত হবে,
সে বৃক্ষে আবার ফুটবে ফুল, আবার আসবে বসন্ত।

আর আমি মাটির নিচে শুয়ে আমার ভালোবাসাকে অনুভব করবো,
খুব নির্জন, সুন্দর, পরিপূর্ণ এক ভালোবাসা।