তুমি সাগর হলে,
আমি হবো আকাশের নীল!
শান্ত অথচ গভীর চোখে তারাদের ঝিলমিল,
চোখের কাজলে ধুয়ে যাবে চাঁদ,
তুমি তাকলে হঠাৎ!
তুমি দাড়ালে দুয়ারে, সাদা শাড়ী লাল পাড়
আমি অমোঘ ঘোরে ডুবে যায় তোমাতে আবার।
যেন মহাকালের মহাযাত্রী হয়ে এতদূর এসেছি–
ক্ষীণ আশা বুকে, এই রুপ দেখিতে পাবার!
বিমুগ্ধ আমি এখন জয় করতে পারি অজেয় সব যুদ্ধ।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ধামামা বাজিয়ে জানিয়ে দিতে পারি এই শুদ্ধ,
অপরিনামদর্শী অথচ সত্য এক নারীর মায়ায় আমি মুদ্ধ।
আমি এখন তুড়িতে কবর দিতে পারি সব ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র পাপ,
মৃত্যুকে যন্ত্রণা দিয়ে কাঁটাবনে তুলতে পারি গোলাপ।
তুমি এলে খোলা চুলে,
আমি কল্পনায় আল্পনা আঁকি তোমার কপোলে।
এখানেই যেন পৃথিবীর সমস্ত বিদ্রোহ থেমে যায়।
মহাকাশের সমস্ত নক্ষত্র নেমে আসে পথে,
তারপর তুমি শান্ত শীতল আলতা দেয়া পায়,
এগিয়ে এলে আমার দিকে, আমি নিঃস্ব হয়ে যায়।
তোমার ঠোঁট যেন ডাকাতের ন্যায়
আমায় নিমিষেই লুট করে নেয়।
যেন বুকের এত গভীরে আর স্পর্শ করেনি কেহ,
তখন অতলান্তিক মহাসাগরে ডুবে যায় আমার দেহ।
আমি ভুলে যায় আমার পরিচয়, আমি কে?
মহাজাগতিক কোনো বস্তু আর টানে না আমাকে।
আমি মাতাল হয়ে যায় আদিম নেশায়, বিভোর হয়ে যায় প্রেমে।
ঘোর লাগা এই পার্থিব সময়, কখনো না যাক থেমে।