এই যে ধূসর মেঘমল্লার,
আমায় একটা আকাশ দিবে সাতরঙা!
একটা ছোট নদী দিবে, জোয়ার দিবে বাঁধ ভাঙা।
পদ্ম শালুক ফুল গুলো সব জেগে উঠুক ঢেউয়ে
জোছনা ভুলে তাঁরার ফুলে দেখবো তারে চেয়ে।
দু’চোখ জুড়ে ঘুমের ঘোরে ‘সে’ সুন্দরতম কল্পনা
বৃষ্টি ভেজা উঠোনে ‘সে’ চিত্রায়িত আলপনা।
দীঘির জলে ফুলের দলে প্রজাপতির পায়চারি
‘আসো তোমায় সাজিয়ে দিই’- ফুল ডাকে তার নাম দরি!

প্রিয় ফুল,
তুমি তোমার কাজ করে যাও, গন্ধ ছড়াও,
নিঃশ্বাসে তার শব্দ কি পাও?
আধাঁর গহ্বরে এই জাগ্রত মাদকতা,
ঘোর ঘোর অন্ধকারে সুই পতন নীরবতা।
পেরুলেই ঊষা সূর্য রাঙায় তার মুখখানি,
বকুল গুলো কুড়িয়ে বলতো কখন আনি?
বেলা হলো ঢের, সকাল দিয়েছে আড়ি।
হঠাৎ তুমি তপ্ত রোদ্দুরে পড়বে শাড়ি,
আর উড়বে তোমার চুল,
সেদিন শূন্য বাতাস ছুঁয়ে যাবে কৃষ্ণচূড়া ফুল।
বৃন্তে সজ্জিত সুবিন্যস্ত সৌন্দর্যে বাঁধা পরে
আত্মার ভেতর ভালোবাসা কড়া নাড়ে!
লাবন্য ছড়ায় ভুবন জুড়ায় দৃষ্টি রাখা দায়,
তুমি এসে হাত রাখলে বুকের বা পাশটায়!
কাজল কালো আঁখি মায়ায় মাখামাখি
আচমকা সব নিঃশ্বাস গুলো তোমার কাঁদে রাখি।
অতঃপর,
দুচোখ বুঁজে যায় ধীরে ধীরে
সপ্নগুলো, সপ্নই থাক! চলো বাস্তবে আসি ফিরে।
তাকে ভেবেই চোখ দুটি অতন্দ্র রাত জাগে,
তাকে দেখার সাধ মিটবে না দুচোখ বুঁজার আগে!
সে আমাকে জ্বালাক, পোড়াক, করে দিক ছাঁই।
তবুও এক আকাশ ভালোবাসা আমি তাকে দিতে চাই!