বিকেল ঘড়িয়েছে, ঝিঝি ডাকছে
মনটা খারাপ! পড়তে বসতে হবে যে।
মা দিচ্ছে বকুনি- এখনও পড়তে বসলি নাহ?
দুর! কি আর করা,
বই নিয়ে করছি নাড়াচাড়া।
হঠাৎ লোড শেডিং!
অন্ধকারে, অন্ধকারে পরে গেছে সাড়া।
আকাশের পশ্চিম কোণে,
সন্ধ্যাতারাটা আজও ঠিক জ্বলে আছে।
শুধু চাঁদ নেয়!
এক ফালি মেঘের আড়ালে হাড়িয়ে গেছে।
মনে হচ্ছে যেন সন্ধ্যাতারাটা হাসছে আমাকে দেখে,
আর বলছে– কী আনন্দময় এই ধরা!
এই ধরার একেকটি শিশু, একেকটি প্রদীপ।
যার আলোতে আলোকিত, আমি সন্ধ্যাতারা।
আমি হা করে সব শুনছি,
অবাক হয়ে ভাবছি,
কী আনন্দ সন্ধ্যাতারার!
কোনো চাপ নেই পড়াশুনার।
যেন সে রাজা,
এই রাতের আকাশে।
পাহাড়ায় আছে চাঁদ,
তার আসে পাশে।
চাঁদের যে কলঙ্ক আছে
তা সন্ধ্যাতারাও জানে।
তবু কতো ভালোবেসে তাকে
নিয়েছে কাছে টেনে।
শুনছো? শুনছো? আবার ডাকছে সন্ধ্যাতারা।
চেয়ে দেখি,
একগাল হাসিতে তার মুখখানি ভরা।
তুমি কি আমার বন্ধু হবে?
বলছি আমি তাকে।
আমি তো প্রতিটি শিশুর বন্ধু,
সেই কবে থেকে।
তুমি বুঝি জানো না?
বিদ্যুৎ এলো হটাৎ!
উত্তর দেওয়ার সুযোগ পেলাম না।
চেয়ে দেখি আকাশ পানে
বিদায় নিচ্ছে সন্ধ্যাতারা হাত নাড়িয়ে।
কিছু শব্দ আসছে কানে,
মা ডাকছে যে,
দৌড়ে গেলাম তাই।
মাকে গিয়ে বললাম_
মাগো, আমি রাতের আকাশের
সন্ধ্যাতারা হতে চাই!