তোমাদের ঐ নগরীর ধূসর কালো মেঘ
ছেয়ে যায়; ছিড়ে খায় শকুনি জমানো আবেগ!
পরিত্যক্ত ঘর, অগোছানো বারান্দায়
রেলিং-এ হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরতে চায়।
গান গায় ভাঙা গলায় সুর দিয়ে
চাঁদ যায়, সূর্য যায়, আলো যায় নিভিয়ে।
প্রতিবার, প্রতি পদক্ষেপে হোঁচট খেয়ে পরি
মোমের আলোয় কতটুকুই আর দেখতে পারি?
ভিষণ অন্ধকারে, খাপছাড়া এই শহরে
এইসব দিনরাত্রির মাঝে, নিত্য নতুন অশ্রু কত জড়ে।
কেউ কাঁদে খুব নিরবে বালিশে মুখ চেপে,
কারো আবার কান্না শুনলে হৃদয় উঠে কেঁপে।
কেউ আবার হাসির মাঝে কান্না লুকিয়ে রাখে
কেউ আবার কাঁদে না কখনো, পাথর হয়ে থাকে।
তাদের গল্প চাপা পরে হাজার গল্পের ভীড়ে
আমিও তাদের দলে, শব্দ খুঁজি আবছা আলো আঁধারে।
শব্দে-শব্দ ঘঁষে আলো জ্বালায়, নিজেই পুড়ি।
একা তবে একলা না, আঁধারেতে সাঁতরে মরি।
আঙুল দিয়ে সূর্য খুঁজি, চোখ খুলি না ভয়ে
অল্প অল্প বেঁচে থাকি নিত্য পরাজয়ে।
নিত্য হাসি, নিত্য বাঁচি ঘুম পাড়ানী গানে
আলো খুঁজি নগরের জমকালো আয়োজনে।
জানালা খুলি বৃষ্টি আসুক, বজ্র আসুক সাথে
অবাক করা জোৎস্না আসুক, ঘুম না আসা রাতে।
আলো নিয়ে জোনাকি আসুক, আলোয় আলো কাটি।
চাঁদের সাথে গল্প করে একলাটি পথ হাঁটি।
আমার গল্প বলো তাকে, আগুনে যে জ্বলে
আমার চিঠি পৌঁছে দিও, আলোর ফুলে ফুলে।
আমার আলোয় জ্বালিয়ে দিও তাদের ক্ষানিক ক্ষত
নগরে এটায় আমার প্রথম চিঠি, শেষবারের মতো।