পৃথিবীর সব আলো নিভে যাবে ধীরে ধীরে
শালিকেরা বালিস চেপে ঘুমিয়ে যাবে নীড়ে।
শুধু অটল-অবিচল দু'টি খোলা চোখ,
আকাশ পানে ছুঁড়ে দেবে হাজার অভিযোগ।
সেই সম্মোহনের আহ্বানে চলছে-চলবে কাচের গাড়ি।
নিত্য এই ব্যস্ত দিনে তোমায় কি আর ধরতে পারি?
তারপর যবে সীমানা পেরোলে শামুকের পিঠে চেপে
সেই বৈশাখে নেমেছিল রাতে প্রবল বৃষ্টি ঝেঁপে।
তুলেছে জোয়ার অনন্ত প্রেমে অচেতন জড়াজড়ি
জল থই থই দু-চোখে ভেসেছে যত্ন কাগজতরী।
তখন এক সহস্র অশ্রু মিলে,
তোমার প্রিয় আবছা নীলে,
বেলা শেষে প্রশ্ন তুলে-
‘সত্যিই কি তুমি শুন্য ছিলে?’
আবার তখন চশমা নিয়ে চোখের উপর চুল সরিয়ে
ভাবছি তোমায় আকব আবার নতুন কিছু শুন্য দিয়ে।
শুন্য থেকে অসীম দূরে ঘন্টা ধরে টানছে দড়ি
বুকের ভেতর বাষ্প ধরে একলা বসে আপন ঘড়ি।
পেন্ডুলামটা দুলছে-দুলুক আন্দোলনেই কাটবে যে দিন
নীরব এই নির্বাসনে জীবন সহজ জীবন কঠিন।
সেই যে জীবন বুনে দিল মায়া-স্বপ্ন-মাধবীলতা
বাতায়ন ঘেঁষে পাপড়িরা হেসে ঢেকে দিল মলিনতা
সেই যে সকাল সাতরঙে আঁকা একটি দোয়েল সুরে,
মেলেছিল ডানা আমাদের কথা বিকেল আকাশ জুড়ে।
সেই সকালটা একটু পেলে,
একটা হৃদয় সেই সকালে,
মাঝে মাঝেই প্রশ্ন তুলে-
‘সত্যিই কি তুমি আমার ছিলে?’