আগুনের ল্যাজে পরেছে পা, পুড়েছি আমি।
জলন্ত ঠোঁটের ওম, তার কিছুটা দিলেও
কাছে টানেনি কেউ।
পত্নীর চুমু-ছায়া পান করে আজীবন ছুটেছি নিরুদ্দেশ।
বুক থেকে নামিয়ে পাখি, যেখানেই রাখি সেখানেই শেষ।
একবার মিথ্যে মরনের পর,
কঙ্কালে জ্বর মেখে দেখি আমার শরীরে উষ্ণ চিতা
মাটি থেকে আকাশ অব্দি কি ভীষন ব্যাকুলতা।
এ কাত সে কাত ভেঙে উঠা চায়
পৃথিবীরও ঢের অসুখ আজ অতৃপ্তির বিছানায়।

আচমকা আসা আলোকরশ্মিতে চোখ পুড়েছি আমি।
নীল আগুনের শিখা, তার শেষ নৃত্যে
বাঁচার সব সম্ভাবনা মিথ্যে।
তারপর বৃদ্ধ অসংখ্য সুন্দরী ঝর্ণা জল ছোঁয়ালো পায়ে
পাশুঁটে ব্যাথা নেমে গেলো যেন এলব্রুজের গা বেয়ে।
আজি হতে শতবর্ষ পর,
আমার বুকের পাঁজরে জন্মানো দূর্বাঘাস মাড়িয়ে
হয়ত নতুন ইস্পাতের সভ্যতা উঠবে দাড়িয়ে।
ধূসর পৃথিবীর ঊষর অস্তিত্ব মিটে গেলে
আমি বোধহয় মিশে যাবো ঝর্ণার জলে।