মেয়ে তুমি
বিষন্ন অলসতায় আমার
ভালো লাগা কিছু মুহূর্তের মতো,
অসংলগ্ন চিন্তার মাঝে ধুমকেতু সম
টুকরো স্মৃতির একরাশ দমকা বাতাস যেন
বেগের প্রবলতায় উড়িয়ে দাও কষ্ট আছে যত!
পর্ণকুটিরে আঁকো ভালোবাসার নিশ্চিত নিবাসন।
পদচিহ্ন এঁকে,নিশান উড়িয়ে গ্রহণ কর হৃদয়সিংহাসন!
মেয়ে তুমি
আকাশের কান্না কষ্টকে বুকে নিয়ে
সেই পরিশুদ্ধ অশ্রুকণার তীক্ষ্ণ বেড়াজালে।
ঘোরলাগা কোন হ্মণে তোমায় গোপণে
লুকিয়ে প্রেম করেছি অর্পণ লোকচক্ষুর আড়ালে।
মেয়ে তুমি
বৃষ্টিভেজা মুহূর্তের কাছে অকৃপণ যাযাবর।
দামমাত্র মূল্যে তাই বিকিয়েছ
ভালোবাসা, ভালোবেসেছ তারপর।
মেয়ে তুমি
আশার বসত গড়েছো নিকোটিনের বিষাক্ত হৃদয়ে
বেদনার নীল রঙে একেঁ,
যাপিত জীবনের কষ্টদের তাড়িয়ে
এক বাসযোগ্য পৃথিবীর নির্মান করেছ আমার বুকে।
মেয়ে তুমি
অসাধারণত্বকে দূরে ঠেলে
ঠাঁই নেবে কি বুকের পাশে?
বাঁচিয়ে রাখা প্রতি নিঃশ্বাসের
হিসেব মিলবে আমার কাছে।
অলিন্দের প্রতি প্রকোষ্ঠের কোণে
রক্তাক্ত কবিতার বিশুদ্ধ প্রেম,
তোমার জন্যই রেখেছি তুলে।
তুমি আসবে বলে উৎসবে মেতে ছিলেম!
মেয়ে তুমি
জ্যোৎস্নাময়ী রাত্রির কাছে অকৃপণ যাযাবর
দামমাত্র মূল্যে তাই বিকিয়েছ
ভালোবাসা, ভালোবেসেছ তারপর।
মেয়ে তুমি
আবেগকে বিকিয়েছো সময়ের দৈন্যতায়
আমাকে ফিরিয়েছো- এত কিসের যাতনা।
রক্তাক্ত আমি আর আমার কবিতা
প্রেম তাই ছন্দহীন শব্দের ছলনা।
মেয়ে তুমি
নিয়ন আলোর আঁধারিয়া যত্রতত্র,
জগতে ভালোবাসা খসে পড়া দেওয়ালে
প্রেমশূন্য আমার তৈলচিত্র।
মেয়ে তুমি
পাবে না ফিরে এই আমার আমিকে।
কবিতার খাতা ভাঙা পেন্সিলে আঁকা,
রয়ে যাবে পুরনো ডায়েরির মলিন পৃষ্ঠাগুলো
তাই অপূর্ণতাই হোক তোমার অহমিকা।