পশ্চিম কোণে কাক ডেকেছে দরদী এক সুরে;
অজানা শঙ্কায় রোদ ভিজে যায় মেঘের ছায়া পরে।
কম্পিত ধরা, শঙ্কিত মন, বিচলিত হলো প্রাণ;
এমনই এক দিনে সব হারিয়ে,
কলঙ্ক পেয়েছি নাম।
সেদিনও তেমনই কালো আকাশ
আর গর্জিত মেঘ সাথে,
অতৃপ্ত লালসায় ছুঁয়ে ছিল আমায়
কলঙ্ক মাখা হাতে।
তখন তো পাশে কেউ আসেনি,
কেউ দাঁড়াইনি রুখে
কলঙ্ক নামে ডেকেছে সবাই,
দেখেছে করুণা চোখে।
ধিক্কার দিয়েছে সবাই, ভালোবাসেনি কেউ।
অবহেলিত মনে উঠেছিল ভেসে- আত্মাহুতিই শ্রেয়!
পারিনি আমি!
বড় মায়ায় জড়িত এই প্রাণ;
এত সহজে কি করে করি বল জীবনের অবসান!
লোভ লালসার বেড়াজালে বন্দি থাকি যদি,
তবু বেলাশেষে মোনাজাতে তোমার জন্যই কাঁদি।
ভীত আমি; নারীত্ব হারানোর ভয়!
নারী আমি; তাই বলে মানুষ কি আমি নয়?
হ্যাঁ, ভীত আমি; কলঙ্ক যদি লাগে!
নারী আমি; কিন্তু মানুষ তো তার আগে।
এক নারীকে সারাটিক্ষন লোভের চোখে দেখো,
আরেক নারীকে খুব আদরে বোন বলে ডাকো।
কুলষিত তুমি, কুলষিত আমি-
কুলষিত সমাজে থাকি।
যে পারে যখন অন্যের গায়ে কলঙ্ক দেয় আঁকি।
চিৎকার দিয়ে বলতে চাই সব
কিন্তু কে শুনে কার কথা?
মাথা আছে বিধেয় নাকি
থাকবেই মাথা ব্যাথা;
হায় আফসোস!
নতুন ধারায় নতুন সমাজ গড়তে নাহি পারি।
আঙ্গুল দেখিয়ে সবাই বলে-
তুই কলঙ্কিত নারী!