আমার ভিটাই এসেছিলো নয়ন জোড়া টিয়ে
উষ্ণ ঠোঁটের কালো কেশি মেয়ে।
তারপর ফিরে গেছে চাঁদ ভেজা পায়ে,
জোৎস্নার পথ ধরে চোখ দুটি ছুয়ে।
সেই থেকে কেটে গেছে বসন্ত পাঁচ
মরে গেছে তার প্রিয় সাদা জবার গাছ।
তবুও আসেনি ক্লান্তি আমার মেরুদণ্ডে চেপে
তাকে খুঁজে ফেরা দীর্ঘ পথের পদাতিক ছাপে।
মেঘ সরে গেলে যেমন নীড় খোঁজে পাখি
বড্ড আশা নিয়ে তাকে তেমনই খোঁজে থাকি।
হেমন্তের ঝড়ে পরা পাতার মতো
আমি পড়ে থাকি বুক পেতে ওই পথে কতো।
সেদিনের মতো এক মুঠো জোনাকি না হোক,
খালি হাতেই আসুক বেদনা বাহক।
বুকের উঠোনে ঘাপটি মেরে শুয়ে থাকা রোগ
জেগে উঠার আগে আমাদের দেখা হোক।
আর একটা বার আমাদের চোখের জল
ভাসিয়ে দিক অরণ্যে বিষাদের দাবানল।
ভেঙে পড়ুক অপেক্ষার বিবর্ণ দেয়াল
আজই এসে যাক তাকে পাওয়ার সেই কাল।
একটা আগন্তুক এর মতো ভেসে আসা 'সে',
ফিরে গিয়ে রেখে গেলো, নিজেকে শেষে।
আমি দরজায় ঠেকিয়ে পিঠের পান্না
ঘন আঁধারে বুনেছি নিশ্চুপ কান্না।
মাঝে মাঝে দেখি আমি গভীর কোনো রাতে
কতো সুখে মেঘেরা কড়ি খেলে তারাদের সাথে।
তুমি কোন খানে কোন জনমনে তারাতে হারালে,
খোলা বাতাসের মতো আমার থেকে আড়ালে?
যে নিশিথে এসেছিলে তুমি, বেঁধেছিলাম গান,
আজও গেয়ে যায়, আমার এ আহ্বান।
তোমারে খুঁজিতে গিয়ে যদি মৃত্যুরে খুঁজে পাই,
তবুও খোঁজ পেলে এসে খোঁজ নিও রাই।
আমার হাতের সাদা হাড়ের মুঠোই রবে একটা চিঠি
তোমার অভ্যর্থনায় হোক আমার জীবনের ছুটি।
তুুমি ওই দূর নক্ষত্রে চোখ রেখো সন্ধ্যার পর
খুঁজে পাব তোমায়, দূরত্ব ঘুঁচে যাবে হাজার বছর।