স্মৃতি _
আটকে থাকে চার কোনা ফ্রেমেতে
আর স্পর্শহীন স্বপ্নে জেগে উঠা মাঝরাতে।
আজ ধোয়াঁশা লাগে সবই!
ছিঁড়ে গিয়েছে ক্যানভাস, ঝলসে গিয়েছে ছবি।
এটা কবিতার ন্যায় জীবন নয়!
বাস্তবতায় পৃষ্ঠ না হলে জীবনের কি মানে রয়?
কাজ ফুরালেই বেলা শেষ, রাত্রি হলেই একি!
নিত্য এই হাতছানির কোনো মানে হয় কি?
আবছা আলোয় ঝাপসা দেখি ভাঙা অক্ষর গুলি,
নিজের ছায়া আঁকতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছি তুলি।
নতুন তুলি কিনতে আবার ধরেছি কত বায়না,
নিজেই নিজেকে ভেংচি কেটে ভেঙে ফেলেছি আয়না।
ছিড়ে গিয়েছে যোগ-বিয়োগের অংক কষা খাতা;
জামরুল গাছটা বৃদ্ধ হয়ে জড়িয়ে দিয়েছে পাতা।
গোধূলিতে রাঙা সূর্য দেখে হয়ে যেতাম কবি,
ছন্দ বিহীন দু-চারটে লাইন লিখতাম হাবিজাবি।
কখনো আবার শখের বসে শিল্পী হয়েছি যদি,
সব এঁকেছি ; আঁকিনি শুধু স্রোতের উজানে নদী।
বৃষ্টি হলেই কত হৈ চৈ! আজকে থাকি চুপ;
হৈ হুল্লোড়ের দিন গুলোর হঠাৎ বদলে গিয়েছে রুপ
স্কেচ পরে যাওয়া চশমা পড়ি;দেখতে পারিনা ঠিক,
স্মৃতির দেয়ালে বন্ধি আছি- বদ্ধ চারিদিক।
বুকের মাঝে স্মৃতি গুলো খুব যত্নে পুষে রাখি!
স্পর্শহীন স্বপ্ন গুলোর স্পর্শ পাওয়া বাকি।
সবই ঠিক আছে; তবুও কোথাও যেন শুন্য!
অপূর্ণ সব ইচ্ছে গুলো স্মৃতির মাঝে পূর্ণ।
অনেক তো হলো!শেষ হোক এই স্মৃতিচারণের পাঠ
স্মৃতির স্রোতে ভেসে আজ আমার বয়স ঊনষাট।