বকুল ফুল নয়,
আজ সন্ধ্যায় তোমায়
ঝরা বকুলের সুবাস এনে দেব।
এনে দেব-
কাঠ-গোলাপে জমে থাকা বিন্দু খানিক জল।
সদ্য ফোটা বেলী ফুল তোমার খোঁপায় বেঁধে দেব।
তোমায় দেখে লুকাবে চাঁদ
ধূসর কালো মেঘের আড়ালে।
নক্ষত্ররা ফিসফিস করে
তোমার সৌন্দর্যের কথা বলে।
আজ সন্ধ্যায়,
রাত চায় জোনাকি!
আমি চাই পাঠক হতে,
পড়তে তোমার কাজল কালো আঁখি।
গল্পকার হতেও রাজি আমি,
যদি তুমি চাও।
তুমি কি তোমার গল্পে এই
গল্পকারকে খুজে পাও?
আজ না হয় মেঘ বালিকার গল্প হোক!
তোমার গড়া নিয়ম ভেঙে,
ছোট খাটো করে বসি ভুল যোগ।
কিংবা তুমি তুলো হাতে আমায় আঁকতে পারো।
আজ সন্ধ্যায় আমার আঙুল যদি ধরো,
আসলে আসুক বৃষ্টি! ভিজবো এই সন্ধ্যায়!
বৃষ্টি ফোটায় পা মিলিয়ে নৃত্য করব আজ।
আজ ভালোবাসায় রাঙাবো তোমায়,
মুছে দেব তোমার ঠোঁটের কোনে তিলক মাঝে
মিশে থাকা লাল আবরণী লাজ!!
আজ সন্ধ্যায়,
খোলা জানালা, দখিনের বাতাসে
তোমার চোখের স্নিগ্ধতায় ডুবে যায়।
হারানো সময়ে হারিয়ে আবার
নিখোঁজ আমায় খুজে পায়।
আমি তোমাকে নিয়ে হারাতে রাজি,
গভীর অরণ্যের একফালি নির্জনতায়।
বৃক্ষরাজির শিহরিত কোমল স্পর্শে
মন হারানোর সীমানা ছাড়িয়ে দৃষ্টির সরলতায়।
তোমার না বলা অনুভূতি গুলো,
বলা কথার প্রলেপে না দেখা
এক অদ্ভুত রহস্যমাখা সৌন্দর্য,
না ছুঁতে পারা অপরুপ হৃদয়াক্ষত শাখা।
তুমি তো এক ফোঁটা আলোক-স্নানে ভেজা পরী!
আবেগে আবৃত হয়ে তোমায় আলিঙ্গন যদি করি,
কিংবা ঐ কপালে আদুরে স্পর্শ আঁকি যদি!
তুমি কি থাকবে?
থাকবে এই জীবন-উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠা অবধি?