বাহ্য দর্শে সবে ভাবে আমি
মহা সুখে আছি তাই,
মনের সুখের প্লাবন আনিতে
যা খুশি করে যাই;

সকালে বিকালে দুপুর রাত্রে
মনোবল করি জড়ো,
অনাহারে কভু অর্ধাহারে তবু
হতে চাই অনেক বড়;

ফেটেছে পুকুর, ঘরের দেয়াল
যেন রাক্ষসমুখী হাঁ,
দুঃখের ভিড়েতে সুখগুলো এনে
কষ্টকে বলি পালা;


একবেলা ভাত, দুইবেলা চিড়ে তবু
খিদের কষ্ট নাই,
আত্মার মাঝারে কষ্ট বিন্দু এলেই
অস্থির হয়ে যাই;

বাঁশের জানালা, টিনের ছাউনি
রোদ বৃষ্টির জ্বালা নাই,
এসির ঠাণ্ডা, ফ্রিজের তরলেতে
অ্যালারজী ওঠে ভাই;

ভাল আছি আমি আমার ঘরেতে
বর্ণহীন শ্যাওলা দেয়ালে,
তোমার সুখ তো বেঁধে আছে ওই
প্রাইমারের রঙিন চোয়ালে;

আমি হেসে চলি একশো দুঃখেতে
মনকে করে শান্ত,
তুমি কেন কাঁদো হাজার সুখেতে
সল্প কষ্টে হয়ে অশান্ত ?

হাজার হাজার টাকা আসে মাসে
তবুও তুমি অস্থির,
শুন্য আয়ে রিক্ত হস্তে ও
এ মন আমার স্থির;

সুখ খোঁজা পাখি সুখই যদি খোঁজ
দুঃখকে কর জয়,
দুঃখের বীণায়, সুখের সুরেতে
দুঃখকে কর ক্ষয়;

চলে যাবে তুমি, চলে গেছে ওঁরা
অমর কেউতো নয়,
মৃত্যুর আগে একটা ভাল কাজে
কিসের তোমার ভয় ?

ফাগুন আসবে, চলেও যাবে হেসে
তোমার জীবন বসন্ত,
আগুন জ্বলছে যদি দেহ মন জুড়ে
তোমার ভাবনা জলন্ত;

বাইরের হাসি, সুখ মোটে নহে
অন্তর সুখ বড়,
মনকে একটু শান্তি দিতে চাইলে
মন গতিপথ ধর;

সারা পৃথিবীটা ভ্রমনাভিলাশে
ঘুরে ফিরে ঘরে এলে,
মনাভিলাশে কি ভুলের তরে ও
ডুব দিয়েছিলে জলে ?

আবেগের খেলা বহু হয়ে গেছে
আত্মার কথা শোনো,
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড বাদ দিয়ে আগে
নিজে নিজেকেই জানো;

অসীম ক্ষমতা আছে মানবের অন্তরে
ভেবে ভেবে থেমে যাও,
তুমিও পারো ওসব ইচ্ছের বলে
একবার মেনে নাও;

ভয় পাও যদি ভীতু বাঙালী তবে
জাগরণের বাধা,
অধিক ক্ষমতা মহামানবের শুধু
এটুকু গোলক ধাঁধাঁ;

তোমাদের এই হীনমন্যতাই করে নব
মহামানবের ধ্বংস,
ইচ্ছে রঙেতে রাঙিয়ে দেখ তোমাতে
মহামানবের বংশ;

জেগে ওঠো জাতি, জানো আপনাকে
শক্তির শেষ নেই,
সুদিন আসিবে মাঝি তোমা হাত ধরে
বৈঠা তুলে বল হেই ।।