ওরে পাষণ্ড কত চেপে যাবি
নিঃশ্বাসে মরে যাই,
আরাম তোদের হারাম হবে-
ব্যথা দিস যদি ভাই;
কাতর স্বরে চৌক বালিশ-
বলে চলে পাসবালিশে,
বলিস না আর তেলের গন্ধে-
বমি হল কাল শেষে;
সেকি দুর্গন্ধ পচা গলা তেল
সহস্র সালের বন্দি,
মাথায় নিয়ে ঠাণ্ডা করে নাকি
আমায় মারার ফন্দি ?
এপাশ ওপাশ ঘুরে ঘুরে শোয়
আমায় রাখে যন্ত্রণায়,
চেপে চেপে যেন ঘিলু খেয়ে নেবে
কাঁকড়া চিংড়ি ভেবে নেয়;
নিজেরাই আমায় নোংরা করে পরে
লাঠি ঝাঁটা মেরে ব্যথা দেয়,
বলে নাকি এতে ধুলো উড়ে যায়
কাঁচার সাবান বেঁচে যায়;
কেউবা আবার খোলস ছাড়িয়ে
দুপুর রোদে দাড় করায়,
কেউবা আমার খোলসটাকে নিয়ে
সাবান জলেতে খুব চোবায় ;
ওঁরা নাকি আবার সৃষ্টির সেরা-
সকল জীবের মাঝে,
আমায় নিয়েই খেলা করে যায়
সকাল দুপুর সাঁঝে ;
পাসবালিশ এবার আবেগের চাপে
কেঁদে ওঠে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে,
যন্ত্রণা আর না সইতে পেরে ভাবি
মেরে দেব ওঁদের কুপিয়ে;
তোকে তো ওঁরা মাথায় রাখে
আদরে সোহাগে ঝেঁপে,
আমায় নিয়ে চলে টানাটানি খেলা-
দুপায়ের পিষ্টে চেপে;
সংজ্ঞাহীন সকল স্থান গুলোতে
চেপে ধরে দিবানিশি,
হাতের চাপড়ে,পদের আঘাতে-
ব্যথা দিয়ে ফেলে বেশি;
অভিনয় করে বড় ক্লান্ত আজ আমি
প্রতি রাত কাটে চাপে,
নারীর-পুরুষ আর পুরুষের নারী
সবার সমান মাপে;
কি করি উপায় খুঁজে পাইনা তো
মুক্তি কি আছে মোদের ?
বিকল্প সে তো বহু আছে তবু
মোরা টার্গেট কেন ওঁদের ?