সেই অল্প একটু ছায়াই যদি দিবি
এমনি যদি হয় তোর ইচ্ছে ,
তবে গ্রীষ্মের এই তপ্ত রোদে আর কিসের অপেক্ষায় ?
কোন সুখের প্রত্যাশায় ?
শরীরের সমগ্র তরল ঝড়িয়ে এক বিদ্ধস্ত অস্ত্রহীন যোদ্ধা
দিনের পর দিন রাতের পর রাত
তোর আগমনের প্রত্যাশায়
দিনগুনে যাই ।
গুড়ো বৃষ্টিতেই যদি ছাতা ধরার প্রতিজ্ঞা থাকে
তবে মুষলধারে ভারী বর্ষণে
একাকী এক জনমানবহীন খোলা প্রান্তরে
ঘুটঘুটে অন্ধকারে,
কোন আশায় বুক বেঁধে ?
কোন সে শান্তির প্রত্যাশায় ?
কচু পাতা মুড়ি দিয়ে
দাঁড়িয়ে যাই –
না ছিল বৃষ্টিতে ভেজার অভ্যাস,
নাইবা রৌদ্র পোড়ার অভিযোজন,
সামান্য রৌদ্র-বৃষ্টিতে ছায়া দিয়ে
আমায় অনেক অনেক অকর্মণ্য করেছিস তুই
আমার কর্মক্ষমতাকে করেছিস দুষিত
কেন করলি এরকম ?
এতদিনে নাহলে আমি অত্যধিক ভারী বর্ষণ
ও তেজস্বী রৌদ্রত্তাপ সহনের ক্ষমতার
থাকতাম অধিকারি ।
ক্ষণপ্রভার তাৎক্ষনিক আলোয় আজ গোলক ধাঁধায়
পরে গেছি যেন অনেক আঁধার গহীনে,
তবু কোন অভিযোগ নেই,
যে প্রাপ্তি ঘটেছিল,
সে তো মাতৃ ছায়ার তুলনায় এততুকু নয় কম;
তবে ছলনার অভিনয় কেন ?
না বন্ধন, না শক্তি
ছত্রছায়া দিলেম তোকে মুক্তি ।।