এইখানে আজ সকলার দ্বারে বলে যাই আত্মকথা-
কি কি করে কিছু মানব আমায় দিয়ে চলেছে ব্যথা;
সুন্দরের সকলে পূজারী নোংরাকে তো কেউ নয়,
নিজেকে স্বচ্ছ করতে তবে অন্যে কেন নোংরা হয় ?
দুগ্ধ শ্বেত জনম নিয়েছি সাদাসিধে আমার কর্ম,
অপরের তরে নিবেদিত প্রান এটাই আমার ধর্ম ;
মানবেরা কেন মানবতাবোধ পারেনা একটু জাগাতে-
জীবনের স্বাদ অপরের হিতে একথা মনেতে লাগাতে ?
সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে কেন আমাকে অত্যাচার-
কেমন শিক্ষা ? কেমন গুরু ? একি নয় ব্যাভিচার ?
কেন করে যাবে সতত আমায় অপবিত্র মানবেরা-
কি অধিকারে কি ক্ষমতা বলে নির্জীব যে আমরা ?
সাধু আর ওই হুজুরেরা মিলে তৈরি হয় যে সাজুর,
রোমে রোমে ওদের পবিত্রতা নেইতো কোন লেজুর;
ভয় লাগে ওই সাজুরের দল অপবিত্রদের নয়,
সাজুরেরা আমায় পকেটে রেখে রেচন-বর্জ্য দেয় ।
ঝাঁঝালো গন্ধে বমি পেয়ে যায় আর দুর্গন্ধে মরি মরি,
কেউবা কখনো হিছকে টানে করে মোরে ছেড়াছেড়ি;
তারপরে ওই নোংরা মাখিয়ে ছুঁড়ে ফেলে ডাস্টবিনে,
প্রতি নিয়ত ওই ভাল মানুষেরা কলঙ্ক দে মোর জিনে ।
অপবিত্ররা নিজেদের দেহ অপবিত্র করে ঠিক-
তবু ও আমার পক্ষ থেকে নেই কোন তাতে ধিক;
কখনো ওঁরা মনের ভুলেও নোংরা করেনি আমায়-
স্বীয় দেহে রেখে অপবিত্রতা পবিত্র রেখেছে আমায় ।
দুষিব আজ তাই সাজুরের দল মুখোশ আড়ালে শয়তান,
স্বীয় কল্যাণে ব্রতী শুধু তবু গায় সৃষ্টিকর্তার মুলতান;
বেশি বেশি খুব কৃষ্ণ আল্লাহ্ জপে চলে অবিরাম,
সুযোগ পেলেই ঝোপে কোপ মারে হালাল করে হারাম ।
নির্জীব আমি সহে যাই শুধু সহনই আমার কাম,
রাস্তার ধারে পচে গলে মরি এইতো আমার দাম;
ওঁরা এত ভাল করে মোরে কালো দিবানিশি বাদ নাই
এহেন যন্ত্রণা সদুত্তর চাই মুক্তি কি করে পাই ?