কলির হাওয়া বয়ে চলা এই ভুবনে কি করে
এমন মহীয়সী নারি আজও মেলে বুঝলাম না,
যা কিনা মনে করিয়ে দেয় সেই সৃজনের আদি লগ্ন …
সনাতনী মতে সৃষ্টির আদি বিচারে মনু শতরূপার
দুই পুত্রী দিতি ও অদিতি
দিতি থেকে দৈত্য আর অদিতি থেকে দেবতার
আবির্ভাব এ ত্রিভুবনে ।
সেই দেবতার জননী আজও আছে এই ধরিত্রীর বুকে
যে কিনা নিজের সকল সুখ দুখ বলিদান করে যাওয়ার
ব্রত নিয়েছে স্বীয় পিতা মাতা আর
আপনজনদের হিতার্থে।
নিজে বিয়ে করবে না কোনদিন—
যৌবনের আগুন যদি
জ্বলেও দেহ পৃষ্ঠে যতই না দাউ দাউ করে ,
মাতৃত্বের দাবী মেটাতে দত্তক এমনকি
হতে রাজী কুমারী মাতা ,
না জানিয়ে তাঁর আপনজনদের ।
প্রতিদিন কাজের মধ্যে সেবা করে যায়
হাজারো লোকের কল্যাণে নিবেদিত প্রান,
খেটে খেটে বড্ড রোগা হয়ে যাচ্ছে,
সে খেয়াল রাখার অবকাশ নেই যেন…
কারও মন রাখতে দুর্যোগ ও মোকাবেলা করতে
মরিয়া তবে স্থির চিত্ত ।
অনেক ভেবে ভেবে অনেক সিদ্ধান্তের পরে কিছু করে…
ধীর সে নারি যে এমন শান্ত অথচ
প্রকাশ্যে নিজেকে নির্লজ্জ বলতেও
দিধা করে না এতটুকু ।
খুব বিশ্বাস করলেই তবে তাকে
আপন করে নেয় অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার অন্তে।
মানব কল্যাণে ব্রতী এমন
নারীকে তবে মহীয়সী বলা কি
খুবই অযৌক্তিক …???