বিঁধির করুনাশিসে পিতৃ-মাতৃ দানে,
মানব বিকাশ ঘটে ধরণীর রনে;
শুরু হয় যুদ্ধ সেথা আশৈশব হতে,
একটু আধটু শব্দ অর্জনের সাথে ।
শৈশবে মায়ের কোলে হাসি-কান্না খেলা,
প্রত্যহ এমনি করে কেটে যায় বেলা;
কৈশোরে সূচনা ঘটে দুরন্ত প্রতিভা,
ধুলো বালি কাঁদা মেখে রত্নাবলী আভা ।
বড় হবে অভিপ্রায়ে বিদ্যালয়ে যাও,
পড়াশুনা শিখে-শিখে মহা-মনু হও,
খেলাধুলা ছুটা-ছুটি দৌড় ঝাঁপ খেলা,
গুরুজন চাপে হেথা পড়াশুনা মেলা ।
যৌবনের পদার্পণে উরু উরু ভাব,
বৈপরীত্য মানুষের ছোঁয়াতেও লাভ;
শাসন শিথিল হয়, দায়িত্বের বৃদ্ধি-
জীবন গড়তে কাজে পেতে হবে সিদ্ধি ।
কঠিন যৌবনকাল জীবিকা গঠন,
প্রেম-ভালবাসা করে সতত দংশন;
সুন্দর জীবন গড়ে প্রেয়সীকে এনে-
বংশধর এনে ভবে সুখ-দুঃখ টানে ।
অন্তিম লগনে আসে বৃদ্ধ দিনকাল,
অলসতা ঘেরা মনে দেহ ছাড়ে হাল;
হিসেব কষবে বসে জীবনের প্রাপ্তি,
প্রাণ-বায়ু চলে গেলে সর্বস্ব সমাপ্তি ।।