শৈশবে- কৈশোরে অন্নে ভরে ছিল ঘর,
খাদ্য অন্বেষণে নাহি নির্ভর অপর;
শিক্ষক আর শিক্ষিকা পিতা-মাতা যার-
অন্নের অভাব হেথা কভুও কি তাঁর...???
যৌবন ঘনিয়ে আসে মন উচাটন,
প্রবাসে স্বদেশী হতে পাড়ি দেয় মন;
অফুরন্ত টাকা-কড়ি ছিলনা অভাব,
বিনা প্রয়োজনে অর্থ ধ্বংসের স্বভাব ।
মাছ-মাংস, দুধ-ডিমে কেটে যেত দিবা,
একাকী নিঃসঙ্গ আজ বেকার প্রতিভা;
স্বল্প আয় মাঝে তাঁর খাদ্য-বাহ্য ব্যয়,
সংসার অচল যেন বেঁচে থাকা দায় ।
এ মনের অভিলাষ হতে হবে বড়ো,
কষ্টাবৃত্তি তবু সদা মন করো দৃঢ় ;
যেন সদা হেন চিন্তা হিয়া করে জড়ো,
বাঁচার মতই বাঁচো তা না হলে মরো ।
পুষ্টি খাদ্যে শিশুকাল কেটেছিল সুখে,
লঙ্কা ডলে পান্তা খেয়ে হেন কাল দুঃখে;
কখন ও অনাহার, অর্ধাহার কভু-
মনেতে অশান্তি নেই খুব বেশি তবু ।
জীবনের লক্ষ্য পেতে শত শত বাঁধা,
সুদিন আসিবে তাই মাখি সর্ব কাদা;
কখনো বা পূর্ণ দিন মুড়ি জল খাই,
তবু পরিশ্রম করি লক্ষ্যে যেতে চাই ।।