আমি মমতা বলছি…
বাংলার মানুষ এতদিনে একটা যোগ্য নেত্রী পেয়েছে,
সেই সিঙ্গুর,নন্দিগ্রাম থেকে শুরু করে-
নয়কোটি বাঙ্গালীর আট কোটির ঘরে আজ
দুটাকা কিলোর চাল ।
কি না করেছি বাংলার জন্য নিজে হাওয়াই চটি পড়ে,
কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, আর ও কত কি শ্রী
বিরোধীরা বলে আমার শ্রী-ব্যাধি
তবু থামাইনি উন্নয়ন ।
আমি মমতা বলছি…
আমি নাকি মুসলিম তোষণ করি-
শুধু সংখ্যালঘুর কথা ভেবে , চালু করেছি
ইমাম ভাতা,বানিয়েছি হজ টাওয়ার, আর
ট্যাংরাতে এশিয়ার এশিয়ার বৃহত্তম কসাইখানা ।
হজ এ মরলে দশ লাখ আর কাশ্মীরে দুলাখ
সংস্কৃত শব্দকে আরবি শব্দ দিয়ে পরিবর্তন-
মাবাবা আম্মিআব্বু,জল পানি আর রামধনু আজ রংধনু
স্বরস্বতি পুজোর দিনে নবি দিবস ।
আমি মমতা বলছি…
সংখ্যালঘু কে সম্মান করা কি তোষণ ?
আপনারাই বলুন-
যে যাই বলুক না কেন আমি যতদিন
এই পৃথিবীর বুকে-সংখ্যালঘু রইবে সুখে ।
আমি সেই মুখ্যমন্ত্রী যে শিক্ষিত বেকারদের
ব্যবসা করতে বলেছি-
চাকরীতে দশ হাজার আর ব্যবসায়
পনের কুঁড়ি, তবু ওঁদের চাকরীই চাই ।
আমি মমতা বলছি…
আমি রাজ্য নিয়ে এতোটাই ভাবি যে
তৃণমূলের সর্বভারতীয় পদের প্রতি ও বিতৃষ্ণা,
টেট কেলেঙ্কারি চাকরী চাকরী করে পথে নামায়
নিরীহদের বিরোধীরা ।
এতো করে ওঁদের বোঝাই
ঋণে ডুবে আছি
বামেরা তো আর রেখে যায়নি কিছু
তবু ও তাঁরা লেগে আছে পিছু ।
আমি মমতা বলছি…
তোমাদের সবকিছু দিতে পারি- চাকরী দেব না ।।