নিয়ম করে প্রতিদিনই সে সূর্যোদয় দেখে।
দিনের শেষে কর্মহীন অলস সন্ধ্যায়
যদিও সূর্যাস্ত দেখার সহজ সুযোগ মেলে
তারপরও উসখুস করে মন
পশ্চিমাকাশের রহস্যময় রক্তিমাভার খোঁজে।
শূন্য দৃষ্টিতে প্রায়ই ধরা পড়ে একদল দলছুট পাখির উড়ান
মুগ্ধ চোখ গোগ্রাসে গিলে খায় দিন-শেষের বিলিয়মান সময়
ঠিক তখনই দীঘির ওপার থেকে ভেসে আসে মাগরিবের আজান
বিপুল শূন্যতায় রোমাঞ্চিত হয় অন্তহীন আকাশের নীলিমা।
আলাভোলা, চলকে পড়া মনকে সান্ত্বনা দেয়
বিহ্বল সময় ক্রমে ক্রমে সুস্থির হয়
ডেবিট-ক্রেডিটের এই অসময়ে
মন অলিন্দে জলতরঙ্গ বাজে রুনুঝুনু রুনুঝুনু।
উপদ্রুত মনে চিরস্থায়ী ভয় ঢুকে যায়
এই বুঝি ঝুপ করে নেমে আসে গহীন আঁধার
ক্রমে ক্রমে বাড়তে থাকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক
দর্পিত হয় মায়াবী রাতের নবযৌবন
সময় এখন সুস্থির, জিজ্ঞাসাও স্বাভাবিক।
ক্লান্ত আঁখি জোড়া নিমিষেই বুজে আসে
রাতের শেষ প্রহরে ভিড় জমায় স্বপ্নের দল
পুনঃ এক নতুন সূর্যোদয়ের অভিসারে।