কাষ্ঠল হৃদয় চীরে একদিন ঠিক ঝর্ণারা নামে
আমি অপেক্ষায় ছিলাম তোমার ঐ চিঠি পাঠাবে
একদিন আমার হাতে আসবে ভাসবে সে সুগন্ধ
অক্ষরে সাজানো বিচিত্র বর্ণিল রঙিন রঙের খামে!
কিছু কিছু কাষ্ঠে আষ্টেপৃষ্ঠে আমাকেই যে বাধে
কিছু কিছু কাঠ শুধুই বাদাম মুঠো ভরে ভরে খাবে!
যখন জেনেছি কাঠের কিছু গল্প আমি যারপরনাই
আশ্চর্য হই!কিছু কিছু কাঠ ফেলনা ছিলো রে ভাই
নামি দামি স্বামীর স্পর্শে এসে দেখি যে অবাক তাই
কিছু কিছু কাঠ সুখপাঠ শেষে সব শ্রদ্ধার চুমু খাই!
অথচ কিছু কাঠ গড়ের মাঠ চৌকাঠ হয়ে যায়
পায়ের তলায় কত দামি কাঠ খাট হয়ে শুয়ে রয়
কিছু কাঠ ঠোঁট ঠাটের বোলে হাটে হাড়ি ভাঙে হায়
কিছু কাঠ তবু আঁটঘাট বেধে শুধুই ভালোবাসায়
কিছু কাঠ যে অপাঠ ক্রোধিত ক্ষোদিত শুধুই নামে
কিছু কিছু কাঠ সে দোকানপাট শুধুই বিক্রি দামে!
কিছু কিছু কাঠ যে চন্দন হয়ে গায়েতে কেউ বা মাখে
কিছু কিছু কাঠ যে ঠ্যাঙায় আবার কবিতার মধ্যমাঠে
কিছু কিছু কাঠ শুধুই আকাঠ জানিনি শাস্ত্রপাঠে!
তবু জেনে নেবো কাঠের কাঠি ঢাকের শান্তিপাঠে!
কেঁদেছিলো এক যে কাষ্টখন্ড বসে রসূলের পাশে
হতাম যদি কাঠখানা সেই ভাগ্য হাসিত শেষে!
[পরিত্র গ্রন্থের সংস্পর্শে কমদামি কিছু কাঠ(রেহাল/রিহাল) দামি হয়ে যায়]