একসময় সে ছিল এক উজ্জ্বল ছেলের নাম,
যার হাসিতে ঝরে পড়ত জ্যোৎস্নার থাম।
বন্ধুরা বলত, "তুই আমাদের আলো,"
আর সখের নারীটি বলত, "তুই আমার ভালো।"

কিন্তু সময়ের খেলায় সব উল্টে গেল,
বন্ধুরা ব্যস্ত হলো, দূরে তারা চলল।
সেই প্রিয় নারী, যার চোখে ছিল ভালোবাসা,
সে-ও অন্য এক পথ বেছে নিল, ছেড়ে দিল আশা।

পরিবারও এড়িয়ে গেল তার অস্তিত্বের গান,
বলে, "তুই ব্যর্থ, তোর জীবন বৃথা প্রাণ।"
তার প্রতিটি শ্বাস যেন তাদের বোঝা,
তার জীবনের স্বপ্নগুলো করল তারা খোঁজা।

এখন সে থাকে এক ঘরের কোণে,
চার দেয়ালের মাঝে, শূন্যতার বীজ বোনে।
খোলা জানালা দিয়ে দেখে আকাশের খেলা,
মনে হয়, "আমারও কি ছিল না ওদের মতো ভেলা?"

তবু তার ভেতরে বেঁচে আছে এক নীরব মানুষ,
যে জগৎকে দেখে, তবু জানে না কোনো স্পর্শ।
সে রাতে চাঁদের আলোতে নিজের সাথে কথা বলে,
নিজের দুঃখের গল্প শোনায়, যা কেউ শোনে না বলে।

"আমি কি সত্যিই ব্যর্থ?" নিজেকে প্রশ্ন করে,
"নাকি জগৎই আমার কষ্টের জন্য জ্বলে?"
তার মন চায় চিৎকার করে বলতে,
"আমি আছি, আমি বেঁচে আছি, বোঝো আমার ব্যথা, শোনো আমার কথা!"

কিন্তু দেয়ালগুলো নীরব, কেউ শোনে না শব্দ,
তার আর্তনাদ থেমে যায় হৃদয়ের গভীর ক্ষত।
তবু তার ভেতরের মানুষটি মরে না,
একদিন সে জানে, সে উড়বে, বন্দিত্ব যে টেকে না।

তাই সে অপেক্ষা করে, নিজের আলো জ্বেলে,
চার দেয়ালের মাঝে বাঁচে, আর স্বপ্ন আঁকে জলে।
একদিন সে ফিরবে, এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে,
জগৎকে দেখাবে, বন্দী নয়, সে শক্তি নিয়ে।