আমি ভবঘুরে,আসল উদাস,
ফুলেল আকাশে খুজি সস্তির বাতাস।
ভালোবেসে আকাশের বুকে চুমু আঁকি,
জোয়ারের মতো আকাশে বান ডাকি।
আকাশের নীল হয়ে উড়ে যাই মেঘের সাথে,
হারিয়েও যাই কোন একদা নিশীথে।
আমি ভবঘুরে,প্রকৃত পাগল,
শাড়ী থেকে আলাদা করি আঁচল।
চোখ মারি তোমায় পথ যেতে যেতে,
গাঁয়ের মাঠে আনন্দে তুমি ওঠো মেতে।
ট্রেনের চাকায় খুজি সৃজনশীলতা,
একমাত্র তুমিই বুঝ মোরে অপরাজিতা।
আমি ভবঘুরে,আসল হাসি,
সুখের সাগরের আকুল পিয়াসী।
চোখে মুখে সদা লেগে থাকে হাসির ছাপ,
হাসির ভিতর নিজেই খুন,এ কি পাপ?
রুদ্ধ প্রাণ মেলে ধরি শূন্য ময়দানে,
তিক্ত দুখ ঢাকা পড়ে সুখের সন্ধানে।
আমি ভবঘুরে,আসল কান্না,
দুখির দুখে চোখে ঝরে ঝর্না।
কান্নার সাগর উথলে ওঠে চোখে,
আশেপাশের ক্ষুধিত মানুষ দেখে।
চোখের জলের কে দেবে হায় দাম?
আমি যে ভবঘুরে,নেই যার কাম।
আমি ভবঘুরে,আমি সবার,
আমি শিশির ভেজা সকাল বেলার।
আমি আলোর,আমি ঘন কালো আঁধারের,
আমি প্রজাপতি উড়ে যাওয়া স্নিগ্ধ বিকেলের।
আমি উড়ে যাওয়া বকের,আমি বিশাল পাহাড়ও,
আমি এই পৃথিবীর বুকে একজন তোমারও।