এখানে আগে ঈশ্বর বাস করতো না,
ঈশ্বর বাস করতো ঐ কাঁটা তারের
অপাশে আর এপাশে।
সেই ঈশ্বরের কানে দহগ্রামবাসীর
কাঁন্না কখনো পৌছাতো না,
কোন দোয়া,এমনকি অভিশাপও।
চোখের সামনে বাবা রোগাক্রান্ত
হয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুকে গ্রহন করে,
ছেলেরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতো
বাবার চলে যাওয়া।
কাঁন্নার নহর বয়ে যেত
কিন্তু করার কিছুই নেই,
এদের বেলায় ঈশ্বর বধির
সে নিরীহদের আকুতি শুনতে পায় না।
এখানে নতুন অতিথি আগমন
তেমনটা সাড়া ফেলতো না,
ভাবা হতো নতুন অভিশাপ হিসেবে।
কি পাপ করেছিলো এই মাটি?
কি অন্যায়,কি অত্যাচার,
কি জুলুম করেছিলো এই মাটি?
যার ফল ভোগ করতে হয়েছিলো
নিরীহ মানুষদেরকে।
একদিকে পেটে ভাত নেই,
অন্যদিকে ক্ষুধার জ্বালায়
চিৎকার করা সন্তানের মলিন মুখ,
কি করে সইতো একজন বাবা?
রোগে,শোকে,ব্যাথায় দাহ
হতে হতে সে এক দহগ্রাম।