নরাধমের অধম ওরে গর্ধব
শান্তির যে মহা বাণী
সৃজনে যে যার আছে সে মহিমায়
চির ভোগ বিলাষিতায়
কুস্তরী সরবত পিলায়ে হয়ে ব্রতী
সে তো নয় ভোগী
সে মহা ত্যাগী; অর্থহীন জনম তার ॥

ত্যাগে নয় সুখ ভোগে বিদ্যমান
ত্যাগে দেখা মিলেনি তার
সে যে নয় সুখী চির দুখি
আন্দাজ করে একবার
কত দিন চলে গেছে তার
সুখের যে প্রতিক্ষায়
সেতো প্রতিক্ষার মহাপূজারী ॥

মহা অপরাধীরে করে ক্ষমা
নেই তাতে স্বার্থকতা
যদি না বুঝে সে নিজের
অপরাধের মর্মকথা
বার বার করে সেই অপরাধ
নিজেকে করে অভিশপ্ত
যবে হৃদয়ে নেই অনুতপ্ত ॥

চতুরতায় নিজেকে দুখি করে
অন্যেকে করে সুখী
হারিয়েছ মহা মানিক
সেজেছো মহা ভিক্ষুক
নির্বোধে জলাঞ্জলী গেছে
ভোগ-ত্যাগের মহিমায়
সারা জীবন যেন মহামারী ॥

ত্যাগী জন সুখী
ভোগী কি মহা দুখি?
স্বচ্ছ জল ঘোলা করে বক
হয়েছে সে ভোগী
হয়েছে কষ্ট তার নিবারণ
প্রস্ফুটিত মুখে চন্দনা
মহা ভোগের হাসি ॥

করে জবর দখল মহা জনপদ
ছিটায়ে বিষের দানা
অন্তরে মহা জ্বালা
গলায় পরায়েছ চন্দন মালা
জাহির করেছ নিজে মহা ত্যাগী
যারে ভোগ দখলে ব্রতী
তারাই তো করুনাময়ী ॥

যার জন্য ত্যাগী গর্বিত
সেকি ছিল তোমার
ঝরায়েছ শুকনো পাতা
আসায় নতুন কুঁড়ি,
নিজের কাছে নেই জানা
অজানার সেই বাহাদুরী
ভোগ-ত্যাগ নয়; যেন বাহবার ফুলঝুড়ি ॥



(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)