পরাজয়ে আছে সুখ কোন সে পরাজয়
হারায়ে সব কিছুই উল্লাসিত মন
শেষ হয়না জীবনের আর্তি
পরাজিত হতে মন চাই বার বার
তবুও মিটেনা সাধ পরাজিত হওয়ার,
যার কিছুই ছিল না
যে ছিল নি:স্বর নি:স্ব
ভিক্ষুকের ভিক্ষক অথবা;
মহা মিস্কিন-বড় অসহায়
তার কাছে যেন এ মহা পরাজয়
জানা ছিলনা তার পরিচয়
অচেনা কোন সে অথিতি
যার জন্য কেন এতো অপেক্ষা
জানি সে তো এসে করবে ধ্বংস
বদলে দেবে সব সভ্যতা
ভেঙ্গে দেবে গড়া সব মতবাদ
শুনবেনা কথা মানবেনা বাঁধা
তার কাছে পরাজিত হয়ে
আসবেনা কোন ক্লান্তি
থাকবেনা আপসোস দীর্ঘশ্বাস
নিজের পরাজয়ে ভরে উঠবে বুক
গৌরবে সৌরভে মহা সুখ,
অচেনা সে অতিথির কাছে
যদি না হয় পরাজয়
ক্লান্তি থাকবে সারাটি জীবন ভর
থাকবেনা শান্তি ক্লান্তিতে ভরে যাবে
এ সুখের পৃথিবী এ কোন পরাজয়
কার কাছে এ পরাজয়
সে আর কেউ নয়
সে বাবা-মা’র আদর্শ সন্তান ॥
সারাটা জীবন ভরে
অনেক সাধনা করে
নির্ঘুম রাত্রি পার করে
যে বিদ্যা অর্জিত এ আকাশে
নিজ সাধে জ্বালাবে
এক অন্ধকার পরাজয়ের আলো
নিজ ইচ্ছায় অন্যের কাছে
হীন করে মন প্রাণ
গাইবে যে পরাজয়ের গান
অতি আনন্দে মগ্ন থেকে,
সমগ্র সাধনা দিয়ে
পরাজয়ের পাশে যাবে এগিয়ে
সেখানে রয়েছে কত গৌবর
এই সেই পরাজয়ে,
দীন যাবে পেরিয়ে আসবে সেই ক্ষণ
আসবে এখনি শুত্রুর জয়
পরাজয় নিয়ে উল্লাসিত মন
আনন্দে কাটবে সেই ক্ষণ
যে পরাজয়ে থাকবেনা আনন্দের সীমা
গৌরবে ভরে উঠবে বুক
বিলিয়ে নিজের সারা জীবনের
যতো সাধনা জ্ঞান
যদি যে হয় আরো বেশি জ্ঞানী
কার কাছে এ পরাজয়
সে আর কেউ নয়
যোগ্য শিক্ষকের যোগ্য ছাত্র ॥
এ পরাজয় নয় পরাজয়
এ যেন মহা বিজয়
মহাকাশ বিজয়ের মত
নিজের উত্তরসরি আজকে
বাইছে নিজের স্বপ্ন তরী
আজকে হয়ে অনেক বড়
সে উজ্জল করেছে
বাবা মা; গুরুর আদর্শ
আলোকিত করেছে যে
অন্ধকার আকাশের ঐ যে
দূর নীহারিকার মতো,
তাকে দেখে বলবে সবাই
ঐ যে; এই সেই বীর
যে করেছে জয় মানুষের হৃদয়
নিজের সাধনা দিয়ে
চির অমর করে রেখেছে
পিতা-মাতা শিক্ষকের আদর্শ
জ্ঞানীদের উত্তরসরি মহা জ্ঞানী হয়ে ॥
(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)