আমি কাউকে হাসতে দেখিনি
দেখেছি যখন হাসতে-
তার মুখে যে হাসির আস্ফলন
অন্তরে তার করুন কান্নার দীর্ঘশ্বাস
যে কান্নায় আকাশ হয়েছে ভারী
প্রকম্পিত হয়েছে এ ধরা
সে হাসি যেন হাসি নয়
কান্নার এক মহামারী।
আমি কাউকে সুখী দেখিনি
যখন মনে হয়েছে সুখী
অন্তরে তার বেদনার আর্তি
সব করে দিয়েছে ম্লান-বিমোহিত
দুঃখের সাগরে তার বসবাস
কষ্টের সাথে তার আলিঙ্গন
জীবনের সবখানে তার ছোয়া
সেটা যেন সুখ নয় দুঃখের নির্যাস।
আমি কারও জয় দেখিনি
দেখেছি যখন বিজয় বেসে
পরাজয়ের মহা গ্লানী
হৃদয়ের মাঝখানে আছে মিশে
জয় করেছে মহা বিশ্ব
জয় করছে মহাশুন্য মহাকাশ
পরাজয়ের গ্লানী তাকে
তাড়া করছে বারেবার।
আমি কাউকে বাঁচতে দেখিনি
শুনেছি তার মরণ বাণী
বাঁচার আসায় বারে বারে
করছে বিলাপ সে অন্তর হতে
একি সত্যের পরিহাস-উপহাস
বিদায়ের যে সুর তাকে
বাবে বারে করছে দংশন
মৃত্যুর সেই মহা আলিঙ্গনে।
আমি কাউকে সৃষ্টি করতে দেখিনি
সুন্দর সৃষ্টি এ বিশ্ব জগতে
সে শুধু ধ্বংসই করছে করছে
সৃষ্টির সৌন্দর্যের দোহায় দিয়ে
করেছে শ্রম বিনিদ্রায় দিবা-রাতি
ধ্বংস করেছে সাগর নদী জনপদ
পাহাড় সাগর গিরিপথ নির্মল বায়ু
ধ্বংসে হয়েছে সৃষ্টির সৃষ্টিকারী।
(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)