১৫ আগষ্ট-
পাকিস্তান-হিন্দুস্থানে যখন আননন্দের বন্যা
তখন আমাদের চোখে অশ্র“ বন্যা
কেন?  এর জবাব কে দিবে,
এর আছে কি উত্তর আছে কোন শান্তনা
যে কারনে প্রথন দ্বিতীয় চলমান তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ
যে কারনে আজকে পাওয়া না পাওয়ার প্রশ্ন।

বিবাদমান বিবাদে আমরা
কখনো প্রতিবাদী কখনো যুদ্ধ দেহী
কখনো ধরাশায়ী কখনো ধর্হ্যধারী,
অনাগত অনাহত অবিচল সূখের আশায়
জেগে আছি জেগে থাকব
প্রতিক্ষিত সেই দিনের অপেক্ষায়।

হাঁসি রাশি রাশি ছড়াচ্ছে যেখানে সেখানে
কোথাও দুহাত তুলে আনন্দ
কোথাও ফুটছে বাজি যেন মহা নবান্ন,
ঐ যে বসন্ত ফুলে ফুলে শোভিত
যে উল্লাসের নেই কোন শেষ
ঐ যে দেখছী মহা আনন্দ।

অবারিত সবুজ প্রান্তরে বারেবারে
ঝরছে রক্ত বৃষ্টি সবুজ শ্যামল এ বাংলায়
কখনো বা পিচ ঢালা রাজ পথে,
মেঠো পথের ধারে ফুটেছিল যে সুগন্ধি ফুল
আমাদেরী ভুলে সে ফুল বিসর্জিত
নির্বাশিত কুয়াশাছন্ন অন্ধকার তিমির রাতে।

আমরা বারে বারে পরছি কাঁটার মালা
সইছি অসহ্য জ্বালা বিধ্বস্ত এ বুকে
চাই সেই অজানা ভাবনার অবসান,
আমরাও চাই স্বাধীনতার পরশ
পেয়েছিও তা রাখতে পারিনায় ধরে
আমরা নির্বুদ্ধিতায় চির নিমজ্জমান।

আমাদের স্বাধীনতা আমাদের মান
আমাদের সৎ সাহস প্রজ্ঞাপন
যারা করছে বারেবারে হরণ,
পরপারের মিথ্যা অজুহাতে
স্বাধীনতা বিরধীদের সাথে নিয়ে
দেশ বিরোধীদের স্বমহিমায় করছে বরণ।

দূর সুদূর হতে আমাদের স্বাধীনতায়
হস্তক্ষেপী অপ্রত্যাষিত শক্তি
করে দিয়েছে আমাদের গৌরব ম্লান,
তাদের পারিনি রুখতে আজও
আমাদের ঘরে রয়েছে দীর্ঘ দিনের
লালিত পালিত শুত্র“ বিভিষণ।

যতোবারে তারে করেছি শাসন
ততোবারে তারা করছে গর্জন
প্রভুদের আশকাড়া পেয়ে,
আমাদের শান্তি আমাদের সংস্কৃতি
নিষ্পেষিত-দলিত করেছে করছেই
ষড়যন্ত্র তর্জন-গর্জন দিয়ে।

মিথ্যা দর্প চূর্ণ হয়েছে তাদের
বন্ধ হয়েছে তাদের অত্যাচার
স্বাধীনতা পেয়েছি; পেয়েছি অধিকার,
হয়েছে অতীত অনেক দিন
তবুও ভূলতে পারেনি অন্যায় লোভ
আজও করতে দখল যুদ্ধে রত বারবার।
আবার জাগার সময় হয়েছে
রুখতে হবে বরগি আসবে যতোবার
আমরা অগ্রগামীর দূরন্ত দূর্বার,
মহা শক্তি নিয়ে পড়ব ঝাপিয়ে
রাখব মাতৃভূমির মান অগোচরে
রুখব তারে আগ্রাসন; ধ্বনি জয়জয়কার।

১৫ আগষ্ট-
আমরা শোকাভুত আমরা শ্রদ্ধায় অবনত
শিক্ষা পেয়েছি আমরা নতুৃন করে
বিতাড়িত করব এদেশ হতে,
যতো আছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র
মুক্ত করব এদেশ শান্তি জবে
তবেই তো পরাজয় হবে পরাধীনতার।


(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)