প্রাচ্যের অন্তরে.. মধ্যপ্রচ্যের অভ্যান্তরে
ছড়িয়েছে যে অগ্নিকাণ্ড
পুড়িয়ে করছে ছাই
হায়! হায়! হায়!
হতে খাঁটি সোনা হলো কয়লার কণা
কলঙ্কে ভরে দিলে পবিত্র স্বপথের ভূমি ।
কত দূর সুদূরে আছে সেই নীলিমায়
গ্রহ জোৎস্নায় প্রান্তর অন্তর
মিছে ধূলি কণায়
আয় আয় আয়
আছে অন্যায় অবিচার ধুয়ে মুছে দিতে
শোধরাতে এসো আমরা তো তোমার প্রেমী ॥
অবিচার অনাচারে আমাদের অন্তরে
যে কালিমা লেপে গেছে
পরিছন্ন তা জরুরী
হায়! হায়! হায়!
কে করবে দূর আছে সে সুদূর সংগ্রামী
শক্তিতে তার মুছে দিতে পারে আমাদের গ্লানী।
তার অপেক্ষায় বসে প্রহর গুনে গুনে
প্রত্যাষিত শান্তি বাণী অন্বেষণে
জেগে আছি এক্ষনি
আয় আয় আয়
আমাদের শক্তি করতে দান অনায়াসে সুদূর প্রসারে
শান্তির বাণী নয়নাভীরামি আমাদের দিচ্ছে হাত ছানি ॥
খেজুর গাছের মিষ্ট ফল তুলা নয় সাদা জল
চাইনা চাইনা মোরে উপকারে
আমরা সমস্বরে পায়
হায়! হায়! হায়!
খেজুর নয় চাই বটের ছায়া মায়া কে যাচিবে
আমরা যে মরছি ছটফটে শীতল শুভ্র ছায়ার অভাবে।
কবে আসবে বৃষ্টি কাড়বে মোদের দৃষ্টি
প্রত্যাষিত মেঘের গর্জনে বর্ষনে
স্ফুলিঙ্গের মতো ছুটে ছুটে
আয় আয় আয়
আমাদের মরু মাতৃভূমে জন্মিতে বৃক্ষ বট
যেখানে আমারা থাকব আমোদ প্রমোদ স্বমহীমায় স্বভাবে ॥
রাতের আঁধারে ঘুমের মাঝারে স্বপ্ন দেখি
কোন দিন আসবেনা সে হাওয়া
জেগে দেখি বীর দর্পে
হায়! হায়! হায়!
আপন-পরিজন ছিন্ন-ভিন্ন স্বপ্ন লাশ বিছিন্ন
তাকিয়ে দৃষ্টি পলক পড়ে আছি ভয়ানক অন্ধকার।
যেখানে দুই পা ফেলি সেখানে বিছানো কাঁটা
অপ্রত্যাশিত স্বপ্নে আকাঁ
চেয়েছি কি পেয়েছি
আয় আয় আয়
আবার ফিরে আয় চাইনা বট বৃক্ষের ছায়া
এখন শুধু বাঁচিতে চায় ডুবেও মহা আধাঁরে ॥
(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)