সৃষ্টিতে যার আছে একচ্ছত্র অধিকার
বৃহদাকার কোন জীব নয়তো সে-
মহা সৃষ্টির মহা প্রলয়ে জন্ম যার
আছে তার অসীম ক্ষমতা সৃষ্টি-ধ্বংসের
সেই তো অতি ক্ষুদ্র পরামাণু কণিকার ।
অর্ন্তনিহীত জ্ঞান থেকে লব্ধ
বিচার বিশ্লেষনে যা করা হয়েছে জব্দ
কত ক্ষণ কত কাল প্রায়াত সৃষ্টির অন্ব্যেষনে,
জাগতিক ভোগ বিলাষ ত্যাগী
তবুও নেই তার বুকে হা-হাকার ॥
শীতল বরপাচ্ছন্ন সাগর হতে
উষ্ণ লিবিয়া মরুভূমি যেখানে জীবন অনাহত
শায়িত রয়েছে সেই বেদুইন আলোর দিশারী
ঘৃনিত-সম্মানিত ধিক্কারী নিজ সন্তান হতে
সে কি পেয়েছে চাঁদের আলো
পেয়েছে কি ভালবাসা কারো
যেখানে চমকে উঠে উষ্ণ মরুবালু।
ক্ষুদ্র পাদার্থকে বানিয়ে অপদার্থ
জয়ের নেশায় লোনা জল ঘোলা করে
মরুভুমি-আফ্রিকা-আমাজান পেরিয়ে
এসেছে বিশাল হস্তি বাহিনী নিয়ে
পিপীলিকা এ্যামিবা কে বিনাষ করব বলে
আছে যা কচুর পাতা কচুরী পানার জলে ॥
আকাশের সু-উচ্চ শিখরে উড়ছে দানব হস্তি, ডাইনোসর
নীল সমূদ্রের তলদেশে শকুন, ভয়ংকর নখআচ্ছাদিত ঈগল
নীল তিমি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যেন রাক্ষসের ছানা
বহু দূর কিংবা নিকট থেকে যা যায়না চেনা
তারা শুনেনা নিরীহের আর্ত চীৎকার
তারা কেবল শুনে দূরে থাকা কাপুরুষের হুংকার।
দাঁপিয়ে বেড়ানো দানব গুলো নিরহের রক্তের নেশায়
গ্রাসের নেশায় ছুটে চলে মরুভূমি পাহাড় প্রান্তর-
শিশু-কিশোর অবাদ বৃদ্ধ বালিকার,
দানবের আঘাতে মরুর উত্তপ্ত বালু পোড়া রক্তে একাকার ॥
মায়ের কোলে ঘুমিয়েছে দুগ্ধ পিপাসু শিশু
সেই তো বড় অপরাধী দানবের কাছে
তার জন্য আয়োজন মহা রণ আবিষ্কার
শিশু চাই আশ্রয় শান্ত মায়ের বুকে
নবীনা কোন ছন্দ সিক্ত-রিক্ত সুর
সে সুরে আলোকিত হয় পৃথিবী
জ্বালা ধরে রাক্ষুসের সর্বাঙ্গে সেই মধুর সুরে ।
রাক্ষুসের এতো জয় তার কেন এতো ভয়
পৃথিবীর অতি ক্ষুদ্রতর পরামাণুর দানব নিয়ে
মরু পাথর গরম করে সেখানে তৈরি করে ঝড়
দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বোঁকা বানাতে জাগরনের জ্বর
কৃত্রিম সংকটে খাচ্ছে তারা লুটেপুটে
জানি তাদের আঘাতে নি:স্ব হব চিরতরে... ॥
যা দিয়ে করেছি এতো ক্ষয়
তা দিয়েই করতে পার জয়
যদি থাকে ইচ্ছে ঘুড়ির ইচ্ছা চমৎকার
যে পরামাণুতে এনেছে ধ্বংস
সেই গড়ে দিবে আগামীর প্রজন্ম।
এক অনু ভালবাসায় বাঁচাই লক্ষ প্রাণ
কখনো আনবেনা সর্বনাশ
বাঁচাবে জীবন গড়বে এই মানব সভ্যতা
সবুজ শ্যামলে ভরবে প্রান্তর
সূখি হবে জীবন-জীবের স্বার্থক হবে জন্ম সবার ॥
(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)