যাওয়ার ছিলো, চলেই যেতে।
দূরে, আরও দূরে, যতদূরে গেলে
তোমার স্মৃতির ছায়ারাও আর স্পর্শ করবে না আমায়।
যতটা দূরে রেগিস্তানের তপ্ত বালু থেকে
আর্কটিকের হিম শীতল নীরবতা,
যতটা দূরে সূর্যের দীপ্তি আর চাঁদের মায়াবী ছায়া।
যতটা দূরে আকাশের তারারা বিস্মৃত জমিনের শূন্যতায় ঝরে যায়,
যতটা দূরে নদীর স্রোত মিলিয়ে যায় বিস্মৃতির সাগরে।
যতটা দূরে কুয়াশার চাদর ঢেকে দেয়
শীতার্ত গহন পথের শেষ আলো,
ততটা দূরে তুমি চলে যেতে পারতে।

যেতে পারতে এক এমন প্রান্তরে,
যেখানে আমার দীর্ঘশ্বাসের বাতাস আর পৌঁছাবে না,
যেখানে তোমার ছায়াও ভুলে যাবে আমার অস্তিত্ব।
যেখানে বাতাসে আর প্রতিধ্বনিত হবে না
তোমার নাম।

শুধু—

শেষ একটিবার যদি, তোমার ঐ জোয়ারের অপেক্ষায় থাকা সাগরের মতো চোখে ডুব দিতে পারতাম,
যেখানে প্রতিটি ঢেউ আমার নামে গেয়ে যেত
এক গভীর বিষাদের গান।

যদি শেষবার হাতে হাত রেখে বলতে পারতাম,
"ভালোবাসি!"
তোমার হাতের শেষ উত্তাপে জড়িয়ে রাখতে পারতাম
আমার ভাঙা হৃদয়ের শেষতম আক্ষেপ।
যদি বিদায়বেলায় তোমায় দেখতে পেতাম মিনিট কুড়ি,
শূণ্যতার ভার হয়তো কমে যেতো সের কয়েক।

কিন্তু তুমি গেলে,
শূন্যতার এক অসীম বোঝা রেখে।
তোমার বিদায়ের নীরবতায় জড়িয়ে রইল
এক চিরন্তন বিষাদ।
ভালোবাসার শেষ ছায়াটুকুও নিয়ে,
তুমি গেলে চিরতরে।

তোমার পথের দিকে তাকিয়ে রইল
অপেক্ষার এক ধ্বংসস্তূপ।