এই শীতে কুয়াশা নেমেছে শহরের অন্ধকারে,
তোমার ছায়া ঢেকে গেছে শুকনো পাতার স্তূপে।
আমার ঘরের ভেতর আগুন নেই,
শুধু শীতের হাত ধরে বসে আছি—
তোমাকে মনে পড়ার অপরাধে।

তুমি চলে যাওয়ার পর,
এই শীতের চাঁদ আর আলোর তীব্রতা বেড়েছে।
কুয়াশা মোড়ানো শহর জানে,
কেউ কথা দেয়, কেউ ভাঙে,
আর কিছু কথা চিরকাল
জমে থাকে শীতের হিমে বন্দী হয়ে।

এখন শীত মানে শুধু বুকে ব্যথার বাতাস,
ফাঁকা শাল, এক মুঠো দূরত্ব আর গুমরে ওঠা শূন্যতা।
তোমার আঙুলের উষ্ণতা নেই বলে,
আমার শরীরের সমস্ত রক্ত
এখন জমে গেছে শীতল বরফের মতো।

তুমি নেই, তবু প্রতিবার শীত আসে
আমার দরজায় অদৃশ্য ঠকঠক শব্দ তুলে।
আমি জানি, তোমার চলে যাওয়া শীতের মেঘের মতো—
আকাশ ছেড়ে যায়, কিন্তু ফেলে যায়
অতল শূন্যতা আর নোনাজল ভরা হৃদয়।

এই শীতে নিঃশ্বাস ফেলে ভাবি—
ভালোবাসা কি আসলেই উষ্ণ?
নাকি এক চিমটি বরফের মতো—
হাতে নিলে গলে যায়, হারিয়ে যায়
কিন্তু রেখে যায় শীতল ঘোর।

তবুও শীত আসে বারবার,
আর আমি মেনে নিই তোমার ফিরে না আসার শীতল সত্য।
তুমি থাকো শূন্যতার আয়নায়,
আমি থাকি অন্ধকার জানালায় জমে থাকা
কুয়াশার জলকণায়,
তোমাকে ছুঁতে না পারার অপরাধে গুমরে মরি।

তবু শীত আসে,
তুমি ফিরে আসো না।
আমি জানালা বন্ধ করি—
এই শীতে তোমাকে ভুলে থাকার ভান করে বেঁচে থাকি।